কোহলীর পাশে দাঁড়ালেন শামি। ফাইল ছবি
পাকিস্তান ম্যাচে হারের পরেই ভয়ঙ্কর আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন মহম্মদ শামি। তাঁর ধর্ম নিয়ে কুৎসা করতে নেমেছিলেন এক দল মানুষ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে শামির পাশে দাঁড়িয়ে সমালোচকদের দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আক্রমণ করলেন বিরাট কোহলী।
ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়ে খেলেন শামি। দীর্ঘদিন ধরে দেশের হয়ে খেলছেন। একের পর এক ম্যাচ একার হাতে জিতিয়েছেন। দেশের হয়ে এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা বোলারও তিনি। কিন্তু একটি ম্যাচ হারতেই যে ভাষায় সমালোচকরা তাঁকে আক্রমণ করতে শুরু করেন, তা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না ভারত অধিনায়ক।
সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়ে কোহলী বলেছেন, “আমাদের মাঠে নেমে ক্রিকেট খেলার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এক দল মেরুদণ্ডহীন মানুষ কী বলল তাতে আমাদের যায় আসে না। ওদের কোনও দিন সামনে এসে কিছু বলার ক্ষমতা নেই। মানবিকতার সব থেকে নিচু স্তর দেখতে পেলাম। মানুষ সব থেকে খারাপ কাজ যদি কিছু করতে পারে, তা হলে সেটা হল ধর্ম নিয়ে কাউকে আক্রমণ করা।”
কোহলীর সংযোজন, “ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে আলাদা করে দেখার কথা কোনও দিন ভাবিনি। ধর্ম একটা পবিত্র বিষয়। আমাদের ভ্রাতৃত্ব এবং বন্ধুত্ব কখনও নষ্ট হতে দেওয়া উচিত নয়। কখনও এ জিনিস বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা আমাদের বুঝতে পারেন, সে ধরনের মানুষকে কুর্নিশ।”
কোহলী জানিয়েছেন, নেটমাধ্যমের কোনও বিষয় নিয়ে কোনওদিনই তাঁরা চর্চা করেন না। এখন এ ধরনের ঘটনা হওয়ার পর আরওই তাঁরা বিষয়টিকে পাত্তা দিতে রাজি নন। কোহলীর মতে, এ ধরনের সমালোচকদের কোনও ‘মেরুদণ্ড’ নেই। তাঁর কথায়, “দল হিসেবে আমাদের কী করা উচিত এবং কোন কোন জায়গায় জোর দেওয়া উচিত সেটা ভালই জানি। কেউ যদি ভাবে ভারত একটা ম্যাচেও হারতে পারে না, তাহলে সেটা তার ব্যাপার। বাইরের মানুষ কী ভাবছে তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা আমাদের নেই। আগেও বলেছি, মানুষ জানে না মাঠে নেমে আসলে ঠিক কী কাজ করতে হয়। আমরাও সেটা জোর গলায় কাউকে জানাতে রাজি নই। যদি কোনও ম্যাচে হারি, তাহলে সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচের দিকে এগিয়ে যাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy