তৃপ্ত: দলের সব বিভাগ নিয়েই খুশি অধিনায়ক মর্গ্যান। ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচেও একতরফা ভাবে জিতেছে ইংল্যান্ড। ইংরেজ অধিনায়ক অইন মর্গ্যান মনে করছেন, তাঁর দল সাম্প্রতিক কালে সাদা বলের ক্রিকেটে প্রচুর উন্নতি করেছে। ব্যাট ও বলে দুরন্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে বুধবার বাংলাদেশকে আট উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ‘বিস্ফোরক-ওপেনার’ জেসন রয় ৩৮ বলে ৬১ রান করেছেন (পাঁচটি বাউন্ডারি, তিনটি ছক্কা)। ইংল্যান্ডকে অবশ্য মাত্র ১২৫ রান তাড়া করতে হয়েছে। যে লক্ষ্যে ১৪.১ ওভারেই পৌঁছে যান মর্গ্যানরা। ইংল্যান্ডের নেটরানরেটও এখন দারুণ জায়গায়।
আবু ধাবিতে বাংলাদেশকে হারিয়ে উঠে মর্গ্যান বলেছেন, ‘‘এই জয়টা বিরাট ব্যাপার। যাবতীয় প্রশংসাও আমাদের প্রাপ্য। যা বুঝিয়ে দিচ্ছে, সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ড কতটা উন্নতি করেছে। ২০১৯-এর বিশ্বকাপের সাফল্যে আমাদের অনেক ক্রিকেটারের অবদান ছিল। যার সুফল টি-টোয়েন্টিতেও দল পাচ্ছে।’’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় নিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়কের কথা, ‘‘প্রথমেই বলতে হয় বোলারদের প্রসঙ্গে। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই ওরা ছন্দে আছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও এই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিখুঁত বোলিং করেছে। বেশি ভাল লেগেছে, বোলারদের শৃঙ্খলাটা। ওদের কাজ সহজ হয়েছে, সতীর্থরা কয়েকটা ভাল ক্যাচ ধরায়। একইসঙ্গে আমাদের ‘গ্রাউন্ড-ফিল্ডিংও’ দারুণ হয়েছে।’’ মর্গ্যান উচ্ছ্বসিত তাঁর ব্যাটারদের নিয়েও, ‘‘জেসন আর দাভিদ (মালান) উইকেটে থিতু হওয়ার কিছুটা সময় পেয়েছে। যেটা দারুণ ব্যাপার। আর জেসন যে দাপট নিয়ে খেলেছে, তাতে বাংলাদেশের পক্ষে ওর রান আটকাতে ফিল্ডার সাজানোটাই কঠিন হয়ে উঠেছিল।’’
প্রত্যাশিত ভাবেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন জেসন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনি জীবনের পঞ্চাশতম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেন। সেরার পুরস্কার নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা ভাল রান করেছি ঠিকই, কিন্তু বোলারদের কৃতিত্বও কম নয়। ওদের জন্যই শুরুটা এত ভাল হয়েছে। অথচ এই ধরনের পিচে নির্ভুল বোলিং করে যাওয়াটা বেশ কঠিন। আর ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে আমি নিজে ফিল্ডারদের এড়িয়ে ফাঁকা জায়গা দিয়ে বল পাঠাতে পেরেছি। কিন্তু উইকেট হাতে থাকাটা বড় ব্যাপার। সেটা হলেই একটা সময়ের পরে ব্যাটাররা নিজেদের প্রয়োগ করতে পারে।’’
জেসন স্পিনের বিরুদ্ধে বরাবর ভাল খেলেন। বাংলাদেশ ম্যাচেও যা প্রমাণিত। ‘‘এই ম্যাচটায় আমার সামনে সত্যিই বড় পরীক্ষা ছিল। তাই এতদিন যা যা শিখেছি, তার সবই কাজে লাগাতে হয়েছে,’’ বলেছেন ইংরেজ ওপেনার। সাম্প্রতিককালে ক্রিকেটের চরিত্র কতটা বদলেছে তাও জেসন বলতে ভোলেননি, ‘‘ক্রিকেট জীবন শুরুর সময় বিক্ষিপ্ত ভাবে এখানে-ওখানে কিছু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হত। অথচ এখন নিয়মিত এই ফর্ম্যাটে খেলতে হয়। আমার তো টি-টোয়েন্টি খেলতে ভালই লাগে।’’
এই ম্যাচে দু’দলের মধ্যে জ্যাসনই একমাত্র ব্যাটার যিনি তিরিশের বেশি রান করেছেন। নিজের সাফল্যের কৃতিত্ব তিনি দিচ্ছেন লিয়াম ডসনকেও। বলেছেন, নেটে লিয়ামের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করেই তিনি নিজেকে ম্যাচের জন্য তৈরি করেছেন। সেটাই তাঁর সাফল্যের রহস্য, ‘‘যে কোনও ম্যাচের আগে মনে উদ্বেগ থাকেই। কিন্তু আজ এই চিন্তাটাকে মন থেকে সরিয়ে দিয়েছিলাম। নিজেকে বুঝিয়েছি, আমি তো ভালই প্রস্তুতি নিয়েছি। তা হলে ম্যাচেই বা পারব না কেন? আসলে এই প্রস্তুতির পুরো কৃতিত্ব লিয়ামের। ও নেটে আমাকে একটানা অনেকক্ষণ ধরে বাঁ হাতে স্পিন বোলিংটা করেছে। তার সুফলই পেয়েছি।’’ পাশাপাশি বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ হতাশ তাঁর দলের ব্যাটিংয়ে, ‘‘এই উইকেটে খেলতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। অথচ শুরুটাই ভাল হল না। ইনিংসের মাঝের দিকে বড় জুটিও তৈরি করতে পারিনি। মনে রাখবেন, এই ধরনের পিচে শেষদিকে ব্যাট করাটা কঠিন হয়ে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy