অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পরেই ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রোহিত শর্মার। সমালোচকদের দিকে তোপ দেগে জানিয়েছিলেন, রোহিতের আগ্রাসী ব্যাটিং তাঁদের পছন্দের। তাঁর সঙ্গে একমত নন সুনীল গাওস্কর। গম্ভীরের কথার বিরোধিতা করে তিনি জানালেন, নিজের ব্যাটিং নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত রোহিতের।
গাওস্করের মতে, শুধু আগ্রাসী খেলাই নয়, ক্রিজ়ে যাতে আরও বেশি সময় কাটানো যায় সেটা ভাবা উচিত রোহিতের। বলেছেন, “নিজের ব্যাটিংয়ের দিকে মন দেওয়া উচিত রোহিতের। ক্রিজ়ে নেমে আগ্রাসী খেলা এক জিনিস। কিন্তু নিজেকে অন্তত ২৫-৩০ ওভার ক্রিজ়ে রাখাটাও দরকার। এ ধরনের ইনিংস ম্যাচ জেতায়।”
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চার ম্যাচে মাত্র ১০৪ রান করেছেন রোহিত। শুরুটা ভাল করেও বড় রান করতে পারছেন না। গাওস্করের মতে, ভারতকে বড় রান করতে গেলে রোহিতের বেশি ক্ষণ ক্রিজ়ে থাকা প্রয়োজন। এক ওয়েবসাইটে গাওস্কর বলেছেন, “গত দু’বছর ধরে একই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে খেলছে রোহিত। বিশ্বকাপের সময় থেকে এটা শুরু হয়েছে। সেটাই চলে আসছে। সফল হয়েছে ঠিকই, তবে ওর যা প্রতিভা, সেই অনুযায়ী খেলতে পারেনি। ওর শটের যা বৈচিত্র, তা অনেক ক্রিকেটারের মধ্যেই নেই।”
আরও পড়ুন:
গাওস্করের সংযোজন, “খেলার সৌন্দর্য, দর্শকদের পছন্দ মাথায় রেখেই বলছি, যদি রোহিত ২৫ ওভার ব্যাট করে তা হলে ভারত ১৮০-২০০ রান তুলতে পারে। যদি তার মধ্যে দুটো উইকেটও হারায়, তা হলেও ওরা ৩৫০ রানে পৌঁছোতে পারবে।”
রোহিতের উদ্দেশে গাওস্করের প্রশ্ন, “ও কি নিজে ২৫-৩০ রান করে খুশি? কখনওই হওয়া উচিত নয়। ওর উদ্দেশে আমার পরামর্শ, যদি সাত-আট ওভারের বদলে ক্রিজ়ে অন্তত ২৫-৩০ ওভার টিকে থাকে তা হলে অনেক বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে।”
উল্লেখ্য, নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচের পর গম্ভীর বলেছিলেন, “আপনারা রান বা পরিসংখ্যান দেখে রোহিতের বিচার করেন। আমরা ওর প্রভাবটা দেখি। এটাই পার্থক্য। দেখুন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল আসছে। তার আগে কী বলতে পারি? যদি আপনার দলের অধিনায়ক ও রকম আগ্রাসন নিয়ে ব্যাট করে তা হলে সাজঘরের জন্য সেটা খুব ভাল ইঙ্গিত। এটাই প্রমাণ করে আমরা সাহসী এবং ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে চাই। সাংবাদিকেরা শুধু সংখ্যা এবং গড় নিয়ে ভাবেন। দল হিসাবে আমরা ও দিকে তাকাই না। অধিনায়ক সবার আগে হাত তুলে দায়িত্ব নিতে চাইলে তার থেকে ভাল কিছু হয় না।”