বিজয় হজারে ট্রফিতে রানের পাহাড় গড়ল বাংলা। সোমবার সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে ৪২৬ রান তুললেন অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। বাংলার প্রথম উইকেটের জুটিতে উঠল ২৯৮ রান। দুই ওপেনার সুদীপ কুমার ঘরামি এবং অভিমন্যু শতরান করলেন।
টস জিতে বাংলাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান সার্ভিসেসের অধিনায়ক রজত পালিওয়াল। তাতে অবশ্য তাঁদের কোনও লাভ হল না। আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন দুই ওপেনার। এই প্রতিযোগিতাতেই বাংলার হয়ে অভিষেক হওয়া সুদীপ ছিলেন বেশি আগ্রাসী। তিনি করলেন ১৬২ রান । তাঁর ১২৯ বলের ইনিংসে রয়েছে ১৫টি চার এবং সাতটি ছক্কা। উইকেটের অন্য প্রান্তে সাবলীল ছিলেন অধিনায়ক অভিমন্যুও। ১২৩ বলে ১২২ রান করলেন তিনি। ন’টি চার এবং একটি ছক্কা মারেন তিনি। বাংলার দুই ওপেনারের সামনে সার্ভিসেসের কোনও বোলারই সুবিধা করতে পারলেন না। লাইন, লেংথও বদায় রাখতে পারলেন না।
এই ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অলরাউন্ডার শাহবাজ় আহমেদ। ৫০ ওভারের ম্যাচে তিনি ব্যাট করলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মেজাজে। ৫৯ রান করতে নিলেন ২৮ বল। তাঁর ব্যাট থেকে এল চারটি বাউন্ডারি এবং পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি। ব্যাট হাতে আরও বেশি মারমুখী ছিলেন চার নম্বরে নামা ঋত্বিক রায় চৌধুরী। তিনি বড় রান না পেলেও মাত্র ১২ বলে ৩১ রান করলেন দু’টি চার এবং তিনটি ছয়ের সাহায্যে। তাঁর এবং মনোজ তিওয়ারির ব্যাটে ভর করেই ৪০০ রানের গণ্ডি পার করে বাংলার ইনিংস। অভিজ্ঞ মনোজ ৮ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। একটি বাউন্ডারি এবং দু’টি ওভার বাউন্ডারি এসেছে রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় (অপরাজিত ১)।
উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে সার্ভিসেসের সফলতম বোলার অর্পিত গুলেরিয়া। ২ উইকেট নিলেও ১০ ওভারে তিনি দিলেন ১০৪ রান। রাহুল সিংহ দিয়েছেন ১০ ওভারে ৭২ রান। অর্জুন শর্মা ৮ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন। সম সংখ্যক ওভারে ৭৪ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন পুলকিত নারাঙ্গ।