সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
বাংলার হয়ে ফেরার পর রঞ্জি ট্রফির প্রথম ইনিংসে জ্বলে উঠেছিল সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাট। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে শতরান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও অর্ধশতরান করেছেন তিনি। সঙ্গী ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণও অর্ধশতরান করেছেন। উত্তরপ্রদেশের থেকে প্রথম ইনিংসে লিড নিল বাংলা। তৃতীয় দিনের শেষে এগিয়ে ১৬০ রানে।
মুকেশ কুমার (৪/৪৩) এবং শাহবাজ় আহমেদের (৪/৯৬) দৌলতে প্রথম ইনিংসে উত্তরপ্রদেশ শেষ হয়ে যায় ২৯২ রানেই। বাংলা এগিয়ে যায় ১৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে সুদীপ-অভিমন্যুর দৌলতে সেই লিড অনেকটাই বেড়েছে। খারাপ আলোর কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সময়ের আগেই শেষ হয়। বাংলার স্কোর বিনা উইকেটে ১৪১। সুদীপ ৫৯ এবং অভিমন্যু ৭৮ রানে ক্রিজ়ে রয়েছেন।
প্রথম ইনিংসে মাত্র পাঁচ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অন্য অভিমন্যুকে দেখা গিয়েছে। দলীপ ট্রফি এবং ইরানি কাপে টানা তিনটি শতরান করে ভাল ফর্মে ছিলেন। আবার নিজের জাত চেনালেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে রিজার্ভ ওপেনার হিসাবে এখনই তাঁর নাম ঘোরাফেরা করছে। এই ইনিংস অভিমন্যুর সম্ভাবনা আরও জোরালো করবে। ৩২ রানের মাথায় নীতীশ রানা ক্যাচ ফেলেন অভিমন্যুর। জীবন ফিরে পেয়ে তা পুরোপুরি কাজে লাগান বাংলার ওপেনার।
সুদীপের খেলাতেও শান্ত মানসিকতা এবং ধৈর্য লক্ষ করা গিয়েছে। খারাপ আলোয় দু’বার তাঁর হেলমেটে বল লাগে। তবে সাজঘরে না ফিরতে হাসতে হাসতে পরের বলের জন্য তৈরি হন।
এ দিন ২০৬/৩ নিয়ে খেলা শুরু করেছিল উত্তরপ্রদেশ। তবে মুকেশের আগ্রাসী বোলিংয়ে ৯৪ রানে বাকি ৭ উইকেট হারায় তারা। শুরুতেই আরিয়ান জুয়ালকে (৯২) ফেরান তিনি। পরে ওভারে আকাশ দীপ নাথকে ফেরান। ভাল ক্যাচ ধরেন ঋদ্ধিমান সাহা। সৌরভ কুমারকে আউট করেন মুকেশ। সিদ্ধার্থ যাদব পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন। তবে উল্টো দিক থেকে সমর্থন পাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy