এশিয়া কাপ ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
এশিয়া কাপের অধিকাংশ ম্যাচ হচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। আয়োজক পাকিস্তানের হসপিটালিটি পার্টনার হয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। ক্রিকেটপ্রেমীরা যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উত্তাপ নিচ্ছেন, সে সময়ই বন্ধ হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট। ক্রিকেট কর্তাদের মধ্যে বিরোধের জন্য সমস্যায় পড়লেন ক্রিকেটারেরা।
এ বার এক দিনের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়নেরা। এ বার তাদের ক্রিকেট ভবিষ্যত ঘিরে তৈরি হল অনিশ্চয়তা। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কর্তাদের মধ্যে বিবাদের জেরে বন্ধ হয়ে গেল সে দেশের সব ঘরোয়া ক্রিকেট। শুক্রবার সরকারি ভাবে সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। গোটা বিষয়টি এখন পাঠানো হয়েছে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রকের কাছে। ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। শ্রীলঙ্কার ক্লাব ক্রিকেটে তিন দিনের ম্যাচের প্রতিযোগিতা চলছিল। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের শুক্রবারের সিদ্ধান্তে সেই প্রতিযোগিতা স্থগিত হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তা নিয়ে ক্রিকেট কর্তাদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চরমে পৌঁছায়। তীব্র বাদানুবাদের পর ভেস্তে যায় বৈঠক। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। ২০২১ সালেও একই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট। এই পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেট নতুন করে শুরুর নির্দেশ দিতে পারবেন ক্রীড়ামন্ত্রী রোশন রানাসিংহে।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের আগের উপদেষ্টা কমিটি দুটি গ্রুপে ১৩টি করে দল নিয়ে তিন দিনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুপারিশ করেছিল। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক অরবিন্দ ডি সিলভা। কমিটির প্রস্তাব ছিল পয়েন্টের হিসাবে দুটি গ্রুপের শেষ দুটি দল নীচের ডিভিশনে নেমে যাবে। প্রথম দু’বছর এই ব্যবস্থা চলার পর তৃতীয় বছর থেকে তিনটি করে দলের অবনমনের প্রস্তাব দিয়েছিল কমিটি। তাতে ক্লাব প্রতিযোগিতায় দলের সংখ্যা কমে হত ১৫টি। ডিসিলভার কমিটির বক্তব্য ছিল, নতুন কাঠামো শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধি করবে। তাতে সার্বিক মানও বাড়বে।
ডি সিলভা কমিটির প্রস্তাব নিয়ে তৈরি হয় সমস্যা। কয়েকটি ক্লাব এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। একটি ক্লাবের কর্তারা অভিযোগ করেন ক্রীড়ামন্ত্রীকে। এর পর ক্রীড়ামন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রকের সচিব শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে চিঠি দিয়ে জানায় শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া আইন অনুযায়ী, ক্রিকেট বোর্ড সংবিধানে পরিবর্তন আনতে চাইলে মন্ত্রকের অনুমতি নিতে হবে। সেই চিঠি পাওয়ার পর মন্ত্রকের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি চান শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কর্তারা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রক অনুমতি না দেওয়ায় বন্ধই করে দিতে হল সব ঘরোয়া প্রতিযোগিতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy