(বাঁদিকে) ডুসেনের অভিনন্দন ডি’কককে। শতরানের পর। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের রাস্তা আরও কিছুটা সুরক্ষিত করে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। বুধবার পুণেতে নিউ জ়িল্যান্ডকে ১৯০ রানে হারিয়ে দিল টেম্বা বাভুমার দল। সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হল তাদের। নেট রান রেটের বিচারে ভারতকে টপকে শীর্ষে উঠে এল তারা। অন্য দিকে, প্রথম চার ম্যাচ জেতা নিউ জ়িল্যান্ড টানা তিন ম্যাচ হেরে কিছুটা চাপে। এ দিন প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৪ উইকেটে ৩৫৭ রান। জবাবে নিউ জ়িল্যান্ডের ইনিংস শেষ হল ৩৫.২ ওভারে ১৬৭ রানে।
অবসর নেওয়ার আগে শেষ বিশ্বকাপে নিজের সবটা উজাড় করে দিচ্ছেন কুইন্টন ডি’কক। দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার প্রতিযোগিতায় নিজের চতুর্থ শতরান করে ফেললেন পুণের ২২ গজে। বিশ্বের তৃতীয় ব্যাটার হিসাবে এক বিশ্বকাপে চারটি বা তার বেশি শতরান করার নজির গড়লেন তিনি। ছুঁয়ে ফেললেন রোহিত শর্মা এবং কুমার সাঙ্গাকারাকে। এ দিন ডি’ককের ব্যাট থেকে এল ১১৬ বলে ১১৪ রানের ইনিংস। মারলেন ১০টি চার এবং ৩টি ছয়। অপর ওপেনার বাভুমা (২৪) বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও তার প্রভাব পড়েনি ডি’ককের উপর। তিন নম্বরে নামা রসি ভ্যান ডার ডুসেনের সঙ্গে তিনি ২০০ রানের জুটি তৈরি করেন। ডুসেনও প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় শতরান করলেন এ দিন। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১১৮ বলে ১৩৩ রান। মারলেন ৯টি চার এবং ৫টি ছয়। এ বারের প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা আটটি শতরান করে ফেললেন। একটি বিশ্বকাপে কোনো দেশের সব থেকে বেশি শতরানের নজির ছিল শ্রীলঙ্কার। সেই কীর্তি ছুঁয়ে ফেলল প্রোটিয়ারা।
ভাল ব্যাট করলেন চার নম্বরে নামা ডেভিড মিলারও। ২টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ বলে ৫৩ রান করলেন তিনি। শেষ দিকে চালিয়ে খেললেন হেনরিক ক্লাসেন (অপরাজিত ১৫), এডেন মার্করামেরাও (অপরাজিত ৬)। তাঁদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে লাইন লেংথ ঠিক রাখতে পারেননি জেমস নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, টিম সাউদিরা। ম্যাট হেনরির হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটও নিউ জ়িল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে বিপাকে ফেলে এ দিন।
জয়ের জন্য ৩৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারলেন না নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটারেরা। শুরুতেই আউট হন ডেভন কনওয়ে (২)। অন্য ওপেনার উইল ইয়ং (৩৩) কিছুটা চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। কারণ নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছে তারা। তার মধ্যেই কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেন ডারিল মিচেল (৩০ বলে ২৪) এবং গ্লেন ফিলিপস। শেষ পর্যন্ত ফিলিপসের লড়াইও কাজে এল না। তিনি ৫০ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেললেন ৪টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে। বাকিরা শুধু ২২ গজে এলেন নিয়মরক্ষা করতে। ইনিংসের ১৬তম ওভারে ৬৭ রানে ৪ উইকেট পড়ার পরেই নিউ জ়িল্যান্ডের জয়ের আশা এক রকম শেষ যায়। ম্যাচের বাকিটা ছিল কার্যত নিয়মরক্ষার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাডা, কেশব মহারাজদের সামলাতে সমস্যায় পড়লেন নিউ জ়িল্যান্ডের বোলারেরা। সফলতম মহারাজ ৪৬ রানে ৪ উইকেট নিলেন তিনি। ৩১ রানে ৩ উইকেট জানসেনের। ৪১ রানে ২ উইকেট নিলেন জেরাল্ড কোয়েৎজ়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy