সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিরাট কোহলী। —ফাইল চিত্র
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এক দিনের দলে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বিরাট কোহলীকে। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তিনি বিশ্রাম নিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এই বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ছন্দহীন বিরাটের বার বার বিশ্রাম নিয়ে খুশি নন অনেকেই। কারও নাম না করলেও বিশ্রাম নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরও।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে চোট থাকায় খেলতে পারেননি বিরাট। দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে বৃহস্পতিবার খেলতে নামবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ২০১৯ সালে শেষ বার শতরান করেছিলেন বিরাট। এর পর বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেটে রান আসেনি তাঁর ব্যাটে। এ বারের আইপিএলে ১৬ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৩৪১ রান। গড় ২২.৭৩। এর পরেই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয় বিরাটকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি টেস্ট খেলার পর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফের বিশ্রাম দেওয়া হয় তাঁকে। টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, “দল থেকে বাদ যাওয়ার আগে কোনও বিশ্রাম না নিয়ে ১৩ বছর ভারতের হয়ে খেলেছি। কোনও সিরিজ, কোনও ট্যুরে বিশ্রাম নিইনি। এখনকার ক্রিকেটাররা যেমন অনেক বিশ্রাম নেয়, তেমন কিছু করিনি। আমার ১৭ বছরের কেরিয়ারে দল থেকে বাদ যাওয়া ওই চার-ছ’মাসই আমার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে এক মাত্র ব্রেক।” পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, “আমি সারা জীবন একটাই জিনিস বিশ্বাস করেছি। যত খেলব, তত ছন্দে থাকব, ফিট থাকব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রচুর ম্যাচ খেলতে হবে। বেশি ম্যাচ খেললেই শারীরিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠবে।”
ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী যদিও মনে করেন, বিরাটের বিশ্রাম প্রয়োজন। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় শাস্ত্রী বলেন, “বিরাট কোহলীকে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। ওর বিশ্রাম প্রয়োজন। দেড়-দু’মাস বিশ্রাম নিক বিরাট।” শাস্ত্রীর মতে বিশ্রামের পর রাজার মতো ফিরে আসবেন বিরাট। উল্টো মত ইরফান পাঠানের। তিনি টুইট করেন, ‘বিশ্রাম নিয়ে কেউ কখনও ছন্দে ফেরেনি।’ খুশি নন সুনীল গাওস্করও। তিনি বলেন, “ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়ায় বিশ্বাসী নই আমি। আইপিএলের সময় তো কেউ বিশ্রাম চায় না। তা হলে ভারতের হয়ে খেলার সময় কেন বিশ্রাম চাই? ভারতের হয়ে খেলতেই হবে। বিশ্রামের কথা বলাই উচিত নয়। টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ২০ ওভারের একটা ইনিংস খেলতে হয়। তাতে শরীরে কোনও প্রভাব পড়ে না। টেস্ট ম্যাচে শরীর এবং মন, দুটোতেই চাপ পড়ে। সেটা বুঝতে পারি, কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রাম নেওয়ার কী অর্থ?”
ইংল্যান্ড সফরে বিরাটের রানের খরা চলছে। টেস্টে প্রথম ইনিংসে তিনি করেন ১১ রান, দ্বিতীয় ইনিংসে ২০। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রাম নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে নেমে করেন এক রান। শেষ টি-টোয়েন্টিতে করেন ১১ রান। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতের আর দু’টি ম্যাচ বাকি। বিরাটের হাতেও আর দু’টি ইনিংস। এই দু’টি ম্যাচে বিরাট যদি খেলেন তা হলে তাঁর ব্যাট থেকে রান দেখতে চাইবেন সমর্থকরা। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নাও খেলতে পারেন বিরাট। সেই সিরিজে না খেললে আগামী এক মাস খেলতে দেখা যাবে না তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy