সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
সোমবার এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। দলে ফেরানো হয়েছে চোট পাওয়া শ্রেয়স আয়ার এবং কেএল রাহুলকে। শ্রেয়স সম্ভবত চার নম্বরে ব্যাট করবেন। রাহুলকে পাঁচে ব্যাট করার পাশাপাশি কিপিংও করতে হতে পারে। কিন্তু সমস্যা রয়েছে চার নম্বর জায়গা নিয়েই, অতীতে যে পজিশন নিয়ে বার বার সমস্যায় পড়েছে ভারত। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মোটেই কোনও সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন না। তাঁর মতে, ভারতের হাতে প্রচুর ক্রিকেটার রয়েছে যারা ওই স্থানে খেলার যোগ্য।
মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সৌরভ বলেছেন, “ভারতে অনেক প্রতিভা রয়েছে। আমি খালি শুনতে পাই এটা নেই, সেটা নেই। কিন্তু আসল ব্যাপার হল, আমাদের হাতে এত ক্রিকেটার রয়েছে যে আমরা সিদ্ধান্তই নিতে পারি না। চার নম্বর নিয়ে রাহুল (দ্রাবিড়), নির্বাচকেরা এবং রোহিতকে ঠিক করে ফেলতে হবে যে ‘এই আমার চার নম্বর এবং ওকেই খেলিয়ে যাব’। তবে আমার মতে, একটা ব্যাটিং পজিশন নিয়ে বেশি ভাবার কারণ নেই।”
সৌরভের মতে, যে কোনও ক্রিকেটারকেই ওই পজিশনে খেলানো যায়। এই প্রসঙ্গে নিজের এবং সচিন তেন্ডুলকরের কেরিয়ারের কথা তুলে ধরেছেন সৌরভ। বলেছেন, “চার নম্বর স্রেফ একটা সংখ্যা। যে কাউকে ওখানে খেলানো যায়। আমি প্রথমে মিডল অর্ডারে শুরু করলেও পরে ওপেন করি। কারণ তখনকার অধিনায়ক সচিনই আমাকে বলেছিল। ওর ক্ষেত্রেও একই জিনিস হয়েছে। শুরুতে ছ’নম্বরে ব্যাট করত। পরে সেই দলের অধিনায়ক ওকে ওপেন করতে বলে এবং সচিন বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারে পরিণত হয়। তাই চার নম্বরে যে কেউ খেলতে পারে। বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, কেএল রাহুল অনেকে রয়েছে।”
এশিয়া কাপের দলে কোনও ডানহাতি বিশেষজ্ঞ স্পিনার নেই। সৌরভের মতে, অন্তত একজন রিস্ট স্পিনারকে নেওয়া উচিত ছিল। বলেছেন, “আমাদের বোলিং আক্রমণ খুবই ভাল। বুমরা, সিরাজ়, শামি রয়েছে। জাডেজা অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু রিস্ট স্পিনারদের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। আমি থাকলে অবশ্যই চহালকে নিতাম। জানি না নির্বাচকেরা কী ভেবেছেন। কিন্তু আমি থাকলে রিস্ট স্পিনারকে নিতামই।”
তবে খামতি থাকলেও সৌরভের আশা, এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে ভাল ফল করবে ভারত। বলেছেন, “দারুণ দল হয়েছে। তবে এই কথা বললেই আমি শুনি, সব সময়েই দারুণ দল দারুণ দল বলি। কিন্তু এরা তো বিশ্বকাপই জিততে পারে না। আরে বাবা, সব বিশ্বকাপই কি একটা দল জিতবে?”
চলতি বিশ্বকাপে ভারত কত দূর যেতে পারে সেই ভবিষ্যদ্বাণী করে সৌরভ বলেছেন, “আমি নিশ্চিত অন্তত সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছবে ওরা। এর আগে বিশ্ব টেস্টের ফাইনালে উঠেছিল। যেটা নিঃসন্দেহে একটা বড় কৃতিত্ব। সেমিফাইনালে উঠলেই ট্রফি জেতার অন্যতম দাবিদার হবে। এই দলের হাতে অনেক সময়, অনেক বিশ্বাস রয়েছে। আশা করি এশিয়া কাপ জেতার পর বিশ্বকাপের ট্রফিও এদের হাতে উঠবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy