দেশকে রক্ষা করতে কার্গিল যুদ্ধে অংশ নিতে চেয়েছিলেন শোয়েব আখতার। ক্রিকেট জীবনের সেরা সময়ে দেশের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন তিনি। এমনই দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার।
২০২০ সালে দেওয়া তাঁর একটি সাক্ষাৎকারের অংশ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব নটিংহ্যামশায়ারের সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাব হাতছাড়া করেছিলেন। তার ফলে তাঁর ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছিল। দেশের স্বার্থে এই আর্থিক ক্ষতি নিয়ে সে সময় বিন্দুমাত্র ভাবেননি।
সেই সাক্ষাৎকারে শোয়েব বলেছিলেন, ‘‘খুব কম মানুষই জানেন, সে সময় দেশের জন্য ১ লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড (প্রায় ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা) হাতছাড়া করেছিলাম। কার্গিল যুদ্ধের সময় দেশে ফিরে এসেছিলাম। সে সময় লাহোরের কাছে এক জায়গায় ছিলাম। আমার সঙ্গে ছিলেন হাজি জেনারেল। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, আমি কোথায় যেতে চাই। কার্গিল যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক আগে বলেছিলাম, কোথাও যাব না। কপালে যদি মৃত্যু লেখা থাকে, তা হলে এক সঙ্গেই মরব।’’
ওই সাক্ষাৎকারে শোয়েব আরও বলেছিলেন, ‘‘তখন আমি কাশ্মীরের বন্ধুদের ফোন করছিলাম। ওদের বলেছিলাম, ঘরে যা আছে তাই নিয়ে তৈরি থাকতে।’’ আপনি নিজে কি যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন? সরাসরি উত্তর না দিয়ে শোয়েব বলেছেন, ‘‘সত্যি বলছি, আমার স্ত্রী আমাকে যুদ্ধে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।’’
Shoaib Akhtar dropped another banger! But what's this statement? Was he not playing the 1999 World Cup that year? pic.twitter.com/bo0bkknzE9
— Farid Khan (@_FaridKhan) March 26, 2023
আরও পড়ুন:
পরে ২০০২ সালেও একটি বড় অঙ্কের চুক্তি বাতিল করেছিলেন বলে দাবি শোয়েবের। তার কারণ জানাননি। তবে কার্গিল যুদ্ধের জন্য শোয়েবের কাউন্টির চুক্তি বাতিল করার দাবি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে ক্রিকেট মহলে। শোয়েব নতুন করে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার কখনও নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে খেলেননি। কাউন্টি ক্রিকেটে তিনি খেলেছিলেন সামারসেট, ডারহাম এবং ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কাউন্টি খেললেও ২০০২ সালে খেলেননি শোয়েব।