শাকিব আল হাসান। ছবি: এএফপি।
বিশ্বকাপে ভাল খেলতে পারছে না বাংলাদেশ। চলছে সমালোচনা। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে শাকিব আল হাসানদের শিবিরে অশান্তি। শনিবার নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর এই অশান্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
শাকিব মেনে নিয়েছেন, বাংলাদেশ এ বারের বিশ্বকাপে সব থেকে খারাপ খেলছে। এর আগের কোনও বিশ্বকাপে তাঁরা এত খারাপ পারফরম্যান্স করেননি। ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসাবে তামিম ইকবালের সঙ্গে তাঁর বিতর্কের কথাও মেনে নিয়েছেন শাকিব। তামিমকে কেন্দ্র করে সতীর্থদের সঙ্গে তাঁর যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তাও মেনে নিয়েছেন শাকিব। অস্বীকার করেননি দলে বিভাজন রয়েছে এই ইস্যুতে।
নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন শাকিব। বাংলাদেশের ব্যর্থতায় তার সঙ্গে তামিমের বিবাদের প্রভাব রয়েছে কি না, জানতে চান এক সাংবাদিক। উত্তরে শাকিব বলেছেন, ‘‘আমার এবং তামিমের মধ্যে বিতর্ক হয়তো দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে। মেনে নিতে অসুবিধা নেই যে, এটাই আমাদের জঘন্যতম বিশ্বকাপ।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘বিতর্ক দলে প্রভাব ফেলতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছু না। দলে কার মনের ভেতর কী আছে, এটা বলা মুশকিল। ভিন্ন মত থাকতেই পারে। আমি অস্বীকার করছি না। পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতেই পারে।’’
বিশ্বকাপের আগে তাঁদের প্রস্তুতি যে পর্যাপ্ত ছিল না, তা-ও মেনে নিয়েছেন সাকিব। তিনি বলেছেন, ‘‘অবশ্যই আমাদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। যে ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে আসা উচিত, তা আমরা নিইনি। এখন এই সব অজুহাত দেওয়ার কোনও মানে হয় না। কোনও লাভ নেই। মেনে নিতেই হবে আমাদের প্রস্তুতি ঠিক ছিল না।’’
নেদারল্যান্ডসের কাছে হার তাঁদের যে বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে দিয়েছে, তা-ও মেনে নিয়েছেন শাকিব। সেমিফাইনালের ওঠার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়কের লক্ষ্য, বাকি তিনটি ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করা। শাকিব বলেছেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে, খুবই কঠিন এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো। আরও তিনটে ম্যাচ রয়েছে আমাদের। সুযোগ এখনও আছে। তবে খুবই কঠিন। আমাদের চেষ্টা করতে হবে। তা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের পারফরম্যান্স অত্যন্ত হতাশার। এর থেকে অনেক ভাল করা উচিত ছিল আমাদের।’’
বিশ্বকাপের ছ’টি ম্যাচ খেলে একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টানা পাঁচটি ম্যাচ হেরে কোণঠাসা শাকিবেরা। বাকি তিনটি ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত নয় তাঁদের। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলির খেলার দিকে। আর একটি ম্যাচে হারলেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy