রাচিন রবীন্দ্র। ছবি: আইসিসি।
বিশ্বকাপে নজর কাড়ছেন নিউ জ়িল্যান্ডের অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র। ২৩ বছরের বাঁহাতির নামের অর্থ আগেই জেনে গিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার ৬ ম্যাচে দু’টি শতরান-সহ ৪০৬ রান করেছেন। শনিবার তাঁর শতরান অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিউ জ়িল্যান্ডকে জয় এনে দিতে না পারলেও নিজের পারফরম্যান্সে খুশি রাচিন। বিশেষ করে ভারতের মাটিতে ভাল পারফরম্যান্স আলাদা তৃপ্তি দিচ্ছে তাঁকে।
বিশ্বকাপে এমন পারফরম্যান্স করবেন রাচিন, তা হয়তো ভাবেননি নিউ জ়িল্যান্ডের কোনও বড় সমর্থকও। রাচিন নিজেও ভাবেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরান করার পর সে কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন ২৩ বছরের অলরাউন্ডার। রাচিন বলেছেন, ‘‘সবাই আমার ক্রিকেটজীবনের শুরুটা দেখতে পাচ্ছেন। এ ভাবে শুরু করতে পেরে ভাল লাগছে। এখানে বিশ্বকাপ খেলতে আসার অনুভূতি দারুণ। সব কিছু যে ভাবে হচ্ছে, তাতে আরও বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠছে। আমাকে নিয়ে কারও কোনও প্রত্যাশা ছিল না কি না জানি না। আমি অন্তত ব্যক্তিগত ভাবে বড় কোনও প্রত্যাশা নিয়ে আসিনি। শুধু দেশের জন্য ভাল খেলতে চেয়েছিলাম। তাই এমন পারফরম্যান্স করত পেরে আমি খুশি। দলের প্রয়োজনে রান করছি। দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পারছি। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হলেও আমরা বিশ্বকাপে ভাল জায়গায় আছি। তাই কিছু প্রত্যাশা করতেই পারি।’’
নিউ জ়িল্যান্ডের অলরাউন্ডারের শিকড় ভারতে। তাই এ দেশের মাটিতে ভাল পারফরম্যান্স করতে পারায় খুশি তিনি। রাচিন বলেছেন, ‘‘সম্ভবত ভারতের সেরা দর্শকের সামনে খেলেছি আমরা। দর্শকের মধ্যে দারুণ উৎসাহ দেখেছি। তাঁরা সব সময় আমাদের উৎসাহিত করেছেন। অনেক সময় ‘রাচিন, রাচিন’ বলে চিৎকার করতেও শুনেছি দর্শকদের একাংশকে।’’
ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে রাচিন বলেছেন, ‘‘ছোটবেলায় সবাই স্বপ্ন দেখে, জনতা তার নামে চিৎকার করবে। অনেক বার লক্ষ্য করেছি দর্শক আমাকে উৎসাহিত করছেন। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সময়ও কয়েক বার আমার নামে চিৎকার শুনেছি। আমি অবশ্যই ১০০ শতাংশ কিউয়ি। তবে আমার ভারতীয় ঐতিহ্য নিয়েও আমি গর্বিত। যে দেশে আমার বাবা-মায়ের জন্ম, তাঁদের বড় হওয়া, সেই দেশে ভাল পারফরম্যান্স করে পেরে দারুণ লাগছে আমার। আমাদের প্রচুর আত্মীয়-স্বজন ভারতে থাকেন। সব মিলিয়ে দারুণ লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy