ভারত ক্ষমতার প্রয়োগ করছে ক্রিকেটবিশ্বে নিজেদের শক্তি রয়েছে বলেই। বললেন আফ্রিদি। ফাইল ছবি
চলতি বছর এশিয়া কাপ হওয়ার কথা থাকলেও কোথায় প্রতিযোগিতা হবে তা এখনও অজানা। পাকিস্তানে ভারত যেতে না চাওয়ায় প্রতিযোগিতার ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক কালে এই নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় যোগ দিলেন শাহিদ আফ্রিদিও। তিনি দোষ দিলেন নিজের দেশকেই। জানালেন, ভারত ক্ষমতার প্রয়োগ করছে ক্রিকেটবিশ্বে নিজেদের শক্তি রয়েছে বলেই।
পাকিস্তানের সামা টিভিতে আফ্রিদি বলেছেন, “কেউ যদি নিজের পায়ে দাঁড়াতে অক্ষম হয় তা হলে এ ধরনের কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ নয়। অনেক বিষয়ে ভাবতে হবে পাকিস্তান বোর্ডকে। ভারত যদি রক্তচক্ষু দেখায় বা কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে নিজেদের শক্তিশালী করে তুলেছে বলেই সেটা করতে পারে। ওদের ক্ষমতা রয়েছে বলেই এত কথা বলতে পারে। না হলে ওদের সাহস থাকত। পাকিস্তানকে এই জিনিস করতে হলে আগে নিজেদের শক্তিশালী করে তুলতে হবে।”
কিছু দিন আগেই পাকিস্তান ক্রিকেটের মুখ্য নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন আফ্রিদি। তিনি আরও বলেছেন, “জানি না পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে ভারত আসবে কি না, বা ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তান যাবে কি না। কিন্তু কোনও এক দিন আমাদের কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। আইসিসি-র ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ওরাও ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস পায় না।”
পাকিস্তান থেকে এশিয়া কাপ সরিয়ে দেওয়ার কথা প্রথমে বলেছিলেন জয় শাহ নিজেই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব হিসাবে জয় জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানে এশিয়া কাপ হলে ভারত সেখানে খেলতে যাবে না। তাই সব থেকে ভাল হয়, যদি প্রতিযোগিতা পাকিস্তান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই মন্তব্য ঘিরে দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘ তরজা হয়েছে। পাক ক্রিকেট বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান রামিজ় রাজা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ভারত এশিয়া কাপ খেলতে না গেলে পাকিস্তানও এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে আসবে না। নাজম চেয়ারম্যান হয়ে জানিয়েছেন, দেশের সরকার যা বলবে সেটাই মেনে চলবেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই নিরপেক্ষ দেশ হিসাবে এশিয়া কাপ আয়োজনে আগ্রহ দেখিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। গত বছর এই দেশেই এশিয়া কাপ হয়েছে। তাই আবার সেখানে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে সমস্যা নেই। প্রতিযোগিতা আয়োজনে আগ্রহ দেখিয়েছে কাতারও। ফুটবল বিশ্বকাপের পরে এ বার ক্রিকেটের প্রতিযোগিতাও আয়োজন করতে চাইছে তারা। শনিবার বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সে দিকেই চোখ রয়েছে এশিয়ার দেশগুলির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy