রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
রাত পোহালেই মহারণ। এশিয়া কাপে মুখোমুখি ভারত বনাম পাকিস্তান। ম্যাচের অনেক আগেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে দুই দল এবং সমর্থকদের মধ্যে। কারণ, দুই দেশ খুব কমই ক্রিকেট খেলে। তাই যখনই তারা মুখোমুখি হয় তখনই আলাদা উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে যাবতীয় উত্তেজনা, উন্মাদনা বাইরে রেখে মাঠে নামতে চায় ভারত। ম্যাচের ২১ ঘণ্টা আগে তা স্পষ্ট করে দিলেন রোহিত শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, অভিজ্ঞতা দিয়েই পাকিস্তানকে হারাতে চান তাঁরা। ভাবছেন না বিপক্ষের বোলিং আক্রমণ নিয়েও।
এশিয়া কাপে এক দিনের ফরম্যাটে ১৪টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। তার মধ্যে সাতটি জিতেছে ভারত। পাকিস্তান পাঁচটি ম্যাচে। শেষ পাঁচ বারের সাক্ষাতে ভারত চার বারই জিতেছে। শেষ বার এই ফরম্যাটে পাকিস্তানের কাছে হেরেছে ২০১৪ সালে।
ম্যাচের আগে শুক্রবার রোহিত বলেছেন, “শত্রুতা নিয়ে সাধারণ মানুষ কথা বলবে। দল হিসাবে আমরা জানি কাল একটা দেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি। তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা তৈরি করা এবং কাজে লাগানোই আমাদের দায়িত্ব। উল্টো দিকে কোন দল রয়েছে তা ভাবতে চাই না। মাঠে নেমে সব কাজ ঠিকঠাক করতে চাই। এশিয়া কাপে ছ’টা দলই কঠিন। যে কোনও দিন যে কোনও দল জিততে পারে।”
প্রথম ম্যাচে নেপালকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন রোহিতেরা। বলেছেন, “সাম্প্রতিক কালে এক দিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান ভাল খেলছে। বিশ্বের এক নম্বর দল হওয়া কঠিন ব্যাপার। তাই নিজেদের কাল একটা পরীক্ষার মধ্যে ফেলতে পারব।”
বিপক্ষের দলে রয়েছেন নাসিম শাহ, শাহিন আফ্রিদি এবং হ্যারিস রউফের মতো বোলার। কী ভাবে সামলাবেন তাঁদের? প্রশ্ন করতেই রোহিতের জবাব, “দেখুন, নেটে তো আর শাহিন, নাসিম বা রউফকে খেলতে পারব না। যারা আছে তাদের নিয়ে অনুশীলন করি। তবে প্রত্যেকেই ভাল মানের বোলার। তাই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই ওদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে চাই।”
বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপকে মোটেই প্রস্তুতি হিসাবে দেখতে চান না রোহিত। এই প্রতিযোগিতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তাঁরা। রোহিত বলেছেন, “কোনও ভাবেই এশিয়া কাপ আমাদের কাছে ফিটনেস পরীক্ষা বা অন্য কিছু নয়। এই প্রতিযোগিতা এশিয়ার ছ’টি সেরা দলের মধ্যে হয়। আমাদের কাছে এই প্রতিযোগিতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপের অনেক ইতিহাস রয়েছে। তা ছাড়া, ফিটনেস পরীক্ষা বা বাকি যা কিছু রয়েছে সব বেঙ্গালুরুতে করে এসেছি। এখানে ম্যাচ খেলতে এসেছি। দেখা যাক প্রতিযোগিতায় কত দূর এগোতে পারি।”
দলের বোলারদের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে রোহিতের মুখে। তিনি বলেছেন, “যে ছ’জন বোলারকে নিয়েছি প্রত্যেকে ভাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবাই নিজেদের প্রমাণ করেছে। বিশেষত বুমরা অনেক দিন পরে চোট সারিয়ে ফিরেছে। আয়ারল্যান্ডে ওর খেলা দেখে ভাল লেগেছে। বেঙ্গালুরুতে অল্প দিনের শিবিরেও ও নজর কেড়েছে। আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে। এটা আমাদের পক্ষে ইতিবাচক।”
এর পর পেস বোলিং বিভাগের বাকি দুই সদস্য মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে রোহিত বলেছেন, “গত কয়েক বছরেই ওরা আমাদের দলে মূল স্তম্ভ। দু’জনেই দলে রয়েছে দেখে ভাল লাগছে। আশা করি পরের দু’মাসে ওরা যতটা সম্ভব নিজেদের তরতাজা রাখতে পারবে।”
ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগেও দলের প্রথম একাদশ নিয়ে কোনও ইঙ্গিত দিলেন না রোহিত। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর, “আমাদের হাতে সব ধরনের বিকল্প তৈরি আছে। আমাদের ব্যাটাররা অনেক অভিজ্ঞ। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে ওরা দক্ষ। যে ভাবে ম্যাচ এগোবে সে ভাবেই নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। আগ্রাসী খেলতে চাই। কিন্তু বাইশ গজে ব্যাটারদের অধিকার রয়েছে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy