দুরন্ত ইয়র্কারে স্কটল্যান্ডকে ভাঙলেন শামি। ডান দিকে, কোহালির সঙ্গে উল্লাস ম্যাচের সেরা জাডেজার। ছবি পিটিআই
স্কটল্যান্ডকে ৮৫ রানে অলআউট করার পরে দেখলাম ড্রেসিংরুমের বাইরে একটি কাগজের টুকরো হাতে নিয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে আলোচনা করছেন প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী ও ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর। ধারাভাষ্যকারেরা বলছিলেন, মাত্র ৭.১ ওভারের মধ্যে ভারত ৮৬ রান তুলে দিতে পারলেই আফগানিস্তানের চেয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে যাব আমরা। কে এল রাহুল ও রোহিত শর্মা নিরাশ করেনি। মাত্র ৬.৩ ওভারে ভারতকে জিতিয়ে শেষ চারের দৌড়ে দলকে রেখে দিল ওরা।
নেট রান রেটে ছাপিয়ে গেল প্রত্যেকটি দলকে। বর্তমানে ভারতের নেট রানরেট +১.৬১৯। যা পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিউজ়িল্যান্ডের চেয়ে বেশি। এই নেট রান রেটের ধাক্কা না আবার আফগানিস্তান শিবিরে চাপ সৃষ্টি করে। মনে রাখতে হবে, রশিদ খানরা নিউজ়িল্যান্ডকে হারালেই আমাদের কাছে শেষ চারের রাস্তা অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। শেষ ম্যাচে নামিবিয়াকে হারালেই আমরা তখন চলে যাব সেমিফাইনালে।
নেট রানরেটে ভারতকে এগিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে রোহিত-রাহুল জুটির অবদান অনস্বীকার্য। ১৯ বলে ৫০ রান করে রাহুল ক্রিকেটবিশ্বকে বুঝিয়ে দিল, খেলায় হার-জিত থাকেই। কিন্তু পিছিয়ে থেকেও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টাই একটি বড় দলকে চিহ্নিত করে দিতে পারে। রোহিত-রাহুলের জুটিতে ফুটে উঠল প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার তাগিদ। যে তাগিদ প্রথম দু’ম্যাচে সে ভাবে নজরে পড়েনি। শুক্রবার মাত্র পাঁচ ওভারে ৭০ রানে পৌঁছে দিল দলকে। সেখানেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ভারত অন্তত সাত ওভারের মধ্যে এই ম্যাচ শেষ করছেই।
বিরাট কোহালিরও দুর্দান্ত জন্মদিন কাটল দুবাইয়ে। প্রতিযোগিতায় প্রথম বার টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিল ভারত। আর শুরু থেকেই যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামির গতি ও বৈচিত্র বিভ্রান্ত করে বিপক্ষ ব্যাটারদের। বুমরার স্লোয়ারের নাগাল না পেয়ে ফিরে গেল কাইল কোয়েটজ়ার। মহম্মদ শামি ষষ্ঠ ওভারে বল করতে এসে ফিরিয়ে দিল উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া জর্জ মানজ়িকে। সেই পরিস্থিতি থেকে বিপক্ষকে ম্যাচে ফিরতেই দিল না রবীন্দ্র জাডেজা, আর অশ্বিন। স্কটল্যান্ডের ব্যাটাররা চায় তাদের যেন শট খেলার জায়গা দেওয়া হয়। তবেই হাত খুলে ব্যাট ঘোরানোর কিছুটা চেষ্টা করে ওরা। কিন্তু ভারতীয় বোলাররা যতটা সম্ভব উইকেটের সোজাসুজি বল করে গেল। আড়াআড়ি শটই খেলতে দেওয়া হল না ক্রিস গ্রিভস, ম্যাথু ক্রসদের। শামি, বুমরা, জাডেজাকে সামলানোর উত্তর ছিল না কোয়েটজ়ারের দলের কাছে। জাডেজার বলে রান করা যে কতটা কঠিন, তা ওর বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। ও কখনও মন্থর গতিতে বল ঘোরানোর চেষ্টা করে না। জোরের উপরে হাত ঘোরায়। যাতে পিচে বল পড়ে পিছলে ব্যাটারের প্যাডে আছড়ে পড়ে। যারা জাডেজার বিরুদ্ধে আগে খেলেনি, তাদের পক্ষে ওর বলে রান করা খুবই কঠিন। চার ওভারে ১৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে বিপক্ষের লড়াই করার স্বপ্নে আঘাত করল জাড্ডুই। ম্যাচের সেরাও বেছে নেওয়া হল তাকে। আমি যদিও সবচেয়ে খুশি হয়েছি বন্ধু শামি ছন্দে ফেরায়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আদৌ ও উপযুক্ত কি না, তা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন ওঠে। আরও এক বার ভারতীয় জার্সিতে তিন উইকেট নেওয়ার পরে শামির মৃদু হাসি হয়তো বলে দিল, এ ভাবেই ফিরে আসতে হয়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy