—ফাইল চিত্র
শতরান করার পর কাঁদছিলেন সরফরাজ খান। এমন নয় যে রঞ্জিতে এটাই তাঁর প্রথম শতরান। আগেও করেছেন বহু বার। তিনশোও করেছেন। তার পরেও কাঁদলেন তিনি। কেন কাঁদছিলেন মুম্বইয়ের শতরানকারী ব্যাটার? দিনের শেষে নিজেই জানালেন।
দিনের শেষে সরফরাজকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে মুম্বই ব্যাটার বলেন, “আমি কী ভাবে এই জায়গায় পৌঁছেছি সেটা সকলেই জানে। আমার বাবা না থাকলে এই জায়গায় কোনও দিন পৌঁছেতেই পারতাম না।” তখনও চোখ মুছছেন তিনি। সরফরাজ বলেন, “আমাদের এক সময় কিছুই ছিল না। বাবার সঙ্গে ট্রেনে করে আসতাম অনুশীলন করার জন্য। ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর স্বপ্ন দেখতাম মুম্বইয়ের হয়ে শতরান করার। সেটা পূরণ হয়েছে। এর পর স্বপ্ন ছিল রঞ্জি ফাইনালে দলের জন্য শতরান করার। দলের যখন প্রয়োজন সেই সময় আমার শতরান এসেছে। সেই কারণেই আবেগ চলে এসেছিল। বাবার পরিশ্রমের দাম দিতে পেরেছি। আমার সব সাফল্যের কৃতিত্ব বাবার। বাবা না থাকলে আমি কিছুই হতে পারতাম না। বাবা আমাকে কখনও ছেড়ে চলে যায়নি।”
রঞ্জি ফাইনালের এই শতরান সরফরাজ উৎসর্গ করেছেন প্রয়াত পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালাকে। শতরান করে তিনি কাঁদলেন, হুঙ্কার দিলেন, পায়ে মেরে নিজের আনন্দ প্রকাশ করলেন, আকাশে আঙুল তুললেন। মুসেওয়ালা এ ভাবেই আনন্দ প্রকাশ করতেন।
সরফরাজ দুশো বল খেলার লক্ষ্য নিয়েছিলেন। তিনি জানতেন দুশো বল খেললে শতরান আসবেই। তৃতীয় দিনে মধ্যপ্রদেশকে কম রানে আটকে দেওয়াই লক্ষ্য মুম্বইয়ের। সরফরাজ বলেন, “ম্যাচ এখনও শেষ হয়নি। অনেক খেলা বাকি আছে। এখন এই নিয়ে কিছু বলা উচিত হবে না। আশা করি প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারব আমরা। শেষ ইনিংসে মধ্যপ্রদেশ ব্যাট করবে। সেটা খুব সহজ হবে না।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy