ছবি: সিএবি
রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলা। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ড্র হলেও প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবিধা নিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন মনোজ তিওয়ারিরা। প্রথম ইনিংসে বাংলার ন’ব্যাটার পঞ্চাশের উপর রান করে রেকর্ড গড়েন। ১২৯ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দেন বাংলার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেন মনোজ।
প্রথম ইনিংসে ৭৭৩ রান তোলার পর সেমিফাইনালে যাওয়া কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলার। সুদীপ ঘরামি ১৮৬ রান করেন। বাংলার ন’ব্যাটার পঞ্চাশের উপর রান করেন। শতরান করেন অনুষ্টুপ মজুমদার (১১৭)। বাংলার দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং অভিষেক রামন অর্ধশতরান করেন। অভিমন্যু করেন ৬৫ রান। অভিষেক করেন ৬১ রান। পাঁচ নম্বরে নেমে মনোজ তিওয়ারি করেন ৭৩ রান। তরুণ উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েল করেন ৬৮ রান। শাহবাজ আহমেদ ৭৮ রান করেন। সায়নশেখর মণ্ডল এবং আকাশ দীপ ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ন’ব্যাটারের দাপটে ৭৭৩ রান তোলে বাংলা। রেকর্ড গড়ে ডিক্লেয়ার করে তারা।
ঝাড়খণ্ড ব্যাট করতে নেমে শেষ হয়ে যায় মাত্র ২৯৮ রানে। শতরান (১১৩) করেন বিরাট সিংহ। তিনি ছাড়া রান পেয়েছেন ওপেনার নাজিম সিদ্দিকি। তিনি ৫৩ রান করেন। অধিনায়ক সৌরভ তিওয়ারি ৩৩ রান করেন। বাংলার হয়ে চারটি করে উইকেট নেন সায়ন শেখর মণ্ডল এবং শাহবাজ আহমেদ। একটি উইকেট নেন আকাশ দীপ। রান আউট হন সুশান্ত মিশ্র।
ঝাড়খণ্ডকে ফলো-অন না করিয়ে ফের ব্যাট করতে নামে বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে মনোজ ছাড়া কোনও ব্যাটার অর্ধশতরান করতে পারেননি। মনোজ ১৩৬ রানের মাথায় রান আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রান করে বাংলা। ঝাড়খণ্ডের হয়ে পাঁচটি উইকেট নেন শাহবাজ নাদিম। একটি উইকেট নেন অনুকুল রায়। পঞ্চম দিনে বাংলা ডিক্লেয়ার দেওয়ার পর দুই দলের সম্মতিতে ওই অবস্থাতেই ম্যাচ ড্র ঘোষণা করে দেন আম্পায়াররা। বাংলার ব্যাটাররা সেমিফাইনালের আগে ছন্দ ফিরে পাওয়ায় নিশ্চিন্ত হবেন কোচ অরুণ লাল।
১৪ জুন মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল খেলবে বাংলা। অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি মুম্বই এবং উত্তরপ্রদেশ। একই দিনে বেঙ্গালুরুতে হবে দু’টি ম্যাচ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy