সোমবার বাংলার অনুশীলনের পরেই তৈরি হয় বিতর্ক। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি পিচে জল দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ছবি: আনন্দবাজারের আর্কাইভ থেকে
খেলা শুরু হতে ৪ ঘণ্টা দেরি। প্রথম দিনে মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হল। দু’টি সেশন নষ্ট। রঞ্জিতে গ্রুপ পর্বে বাংলার শেষ ম্যাচ শুরু হল বিতর্ক দিয়ে। পিচ ভেজা থাকায় নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরুই করা গেল না। এই দায় কার? বাংলার ক্রিকেট সংস্থার তরফে সব দায় ঝেড়ে ফেলা হল। বোর্ডের কিউরেটর অশোক বর্মার কাঁধেই সব দায় চাপিয়ে দিল সিএবি।
সোমবার বাংলার অনুশীলনের পরেই তৈরি হয় বিতর্ক। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি পিচে জল দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল মঙ্গলবার খেলা শুরু করতে দেরি হবে। সেটাই সত্যি হয়, ম্যাচ শুরু হয় চার ঘণ্টা পর। খেলা দেরিতে শুরু হওয়ার পিছনে দায়ী পিচ। কিন্তু পিচ প্রস্তুত না হওয়ার দায় কার? স্থানীয় পিচ প্রস্তুতকারক বীরেন্দ্র কুমার সিংহ মঙ্গলবার বলেন, “বোর্ড কিউরেটর অশোক বর্মা ১৮ জানুয়ারি এখানে এসেছেন। তাঁর নির্দেশ মতোই আমরা কাজ করেছি। উনি যা বলেছেন তাই করেছি। জল দেওয়া এবং পিচে রোলার চালানো ওঁর নির্দেশ মতোই হয়েছে। আমরা নিজে থেকে কিছু করিনি।”
রঞ্জিতে বোর্ডের পাঠানো নিরপেক্ষ কিউরেটরই পিচ তৈরি করেন। সার্ভিসেসের অশোকের উপর দায়িত্ব ছিল বাংলা বনাম ওড়িশা ম্যাচের পিচ তৈরি করার। ইডেনের পিচ তৈরি করতে এসে তাঁর দিকেই আঙুল উঠছে। সিএবি সচিব নরেশ ওঝা বলেন, “গত কাল থেকেই পিচ নিয়ে সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হচ্ছে আমার। রঞ্জির নিয়ম অনুযায়ী পিচ বোর্ডের হাতে চলে যায়। অশোক বর্মা যে ভাবে বলেছেন, এখানকার কিউরেটররা সে ভাবে কাজ করেছে। আমার মনে হয় বোর্ডের কিউরেটর বুঝতে পারেননি আমাদের এখানকার মাটিতে কতটা জল প্রয়োজন। আমাদের জন্য এটা একটা বিরাট শিক্ষা। ভবিষ্যতে বোর্ডকে আমরা আবেদন করব যাতে পিচ আমাদের কিউরেটরের দায়িত্বে থাকে। কারণ সেই সব থেকে ভাল চেনে পিচটাকে। তাই স্থানীয় কিউরেটরের কথা বোর্ডের কিউরেটর যাতে শোনে সেই আবেদন আমরা বোর্ডের কাছে করব। যদিও এখনই বোর্ডকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হচ্ছে না।”
পিচ নিয়ে আর ভাবতে রাজি নয় বাংলা দলও। টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন মনোজ। ৩৫ ওভারে ওড়িশা ৯৬ রান তোলে। দু’টি উইকেট নেয় বাংলা। একটি করে উইকেট আকাশ দীপ এবং ঈশান পোড়েলের। দিনের শেষে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলেন, “উইকেট ভেজা ছিল। শেষ দু’দিন রোদ ওঠেনি। সেই কারণেই মনে হয় এটা হয়েছে। আমাদের গত কাল মনে হয়েছিল যে পিচ ভেজা। আমরা ম্যাচ রেফারি বা কাউকেই কিছু বলিনি। সকালে আম্পায়াররা মনে করেছিলেন যে পিচ ভেজা। তাই দেরিতে খেলা শুরু হল। এখন তো স্থানীয় কিউরেটরের হাতে দায়িত্ব থাকে না। বাইরের কিউরেটর মনে হয় বুঝতে পারেননি। একটু ভুল করে ফেলেছেন। এর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার কোনও মানে নেই।”
বাংলা কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। এই ম্যাচের কোনও গুরুত্ব নেই তাদের কাছে। কিন্তু যদি এই ম্যাচের উপর নক আউটে যাওয়া নির্ভর করত তা হলে, এই চার ঘণ্টা নষ্ট বড় হতে পারত বলে মেনে নিলেন লক্ষ্মী। তিনি বলেন, “গ্রুপ লিগে আমরা ভাল জায়গায় আছি। কিন্তু সেটা না হলে ৪-৫ ঘণ্টা খেলা না হওয়া চিন্তার কারণ হয়ে যেত। বৃষ্টি হয়নি, তার পরেও এত ক্ষণ খেলা না হওয়া ম্যাচের ক্ষতি হয়ে যেত। এখন এ সব ভেবে কোনও লাভ নেই। বোলারদের উইকেট নিতে হবে। সেই কাজটাই বুধবার করতে হবে তাদের।”
সোমবার অনুশীলন পিচ নিয়েও অভিযোগ করেছিলেন মনোজ। তিনি বলেছিলেন যে, অনুশীলন পিচও ভেজা। স্থানীয় পিচ কিউরেটর বীরেন্দ্র বলেন, “অনুশীলন পিচও বোর্ডের কিউরেটরের কথা অনুযায়ী হয়েছে। আমি সোমবার সব সময় মাঠে ছিলাম। আমার কাছে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। সহকারী কোচকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনিও বলেন ঠিক আছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy