গত বার আইপিএল জিতলেও এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন-সুলভ খেলা দেখা যাচ্ছে না কেকেআরের মধ্যে। একটি ম্যাচে জিতলে পরের ম্যাচেই হারছে। এখনও পর্যন্ত এটাই এই আইপিএলে কেকেআরের ‘প্যাটার্ন’। সেই অনুযায়ী, সোমবার গুজরাতের বিরুদ্ধে তাদের জেতারই কথা। কিন্তু বিপক্ষে জস বাটলার, সাই সুদর্শন, শুভমন গিলের মতো ক্রিকেটার রয়েছেন, যাঁরা সেই ‘প্যাটার্ন’ অনায়াসে ভাঙতে পারেন। সদ্য দলে যোগ দেওয়া সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের মন্ত্রে কেকেআর ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে।
ইডেনে বাটলারের রেকর্ড মোটেই খারাপ নয়। গত বার রাজস্থানের হয়ে এই মাঠে শতরান করেছিলেন তিনি। সুনীল নারাইনের শতরানের পাল্টা হিসাবে বাটলারের করা শতরানে ২২৩ তুলেও হেরেছিল কেকেআর। এ বার দল বদলে বাটলার গুজরাতে। তবে ফর্ম একই রকম রয়েছে। আগের ম্যাচেই অল্পের জন্য শতরান পাননি। অহমদাবাদের প্রবল গরমে দিল্লির বিরুদ্ধে অপরাজিত ৯৭ করেছেন। তাঁকে থামানোই কেকেআরের মূল চিন্তা হতে চলেছে।
আইপিএলের মাঝপথে প্রথম চারের বাইরে রয়েছে কেকেআর। সাত ম্যাচে জয় তিনটি, হার চারটি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মুহূর্ত যে কোনও সময়ে বদলে যেতে পারে। ২০২১ সালে এ রকম পরিস্থিতি থেকেই প্লে-অফে উঠে ফাইনালও খেলেছিল কেকেআর। তবে কেকেআরের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। আরও বেশি নমনীয় হতে হবে কেকেআরকে। স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্বলতা প্রতি ম্যাচে দেখা যাচ্ছে। নারাইন এবং বেঙ্কটেশ আয়ার বাদে আর কেউ স্পিন খেলতে পারছেন না।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে এই সমস্যাই ভুগিয়েছিল কেকেআরকে। এই ধরনের হার দলের মানসিকতা দুমড়ে দিতে বাধ্য। তাই কেকেআরকে দ্রুত সমাধান খুঁজে বার করতে হবে। কারণ আইপিএলের শেষ পর্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষার আর জায়গা নেই। একমাত্র তাদের স্পিন বোলিং ছাড়া আর কোনও শক্তি নেই। শুধু তা-ই নয়, বেশ কয়েকটি ম্যাচে কেকেআরকে ডুবিয়েছে অজিঙ্ক রাহানের ভুল সিদ্ধান্তও। গুজরাতের বিরুদ্ধে তিনি ভুল করলে কেকেআরের জেতা কঠিন।
গুজরাতে এমনিতেই স্পিন খেলার মতো দক্ষ ক্রিকেটার রয়েছেন। পাঁচটি ম্যাচ জিতে মসৃণ গতিতে এগোচ্ছে গুজরাত। পরের সপ্তাহেই প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। শুভমন তো বটেই, সুদর্শন এবং বাটলারও ভাল ফর্মে রয়েছেন। গুজরাতের শক্তি টপ অর্ডার। ফলে এই তিন জনকে দ্রুত ফেরাতে পারলে কেকেআরের জয়ের আশা বাড়তে পারে। একই ভাবে স্পিন বিভাগে রশিদ খানও ভাল খেলছেন।
আরও পড়ুন:
কেকেআরের বিরুদ্ধে সাধারণত প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা ভাল খেলেন। গুজরাতে সে রকমই এক জন আছেন। তিনি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। কেকেআরে থাকার সময় উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স হাতেগোনা। তবে গুজরাতের হয়ে দারুণ ছন্দে আছেন। চেন্নাই-মুম্বই ম্যাচের আগে পর্যন্ত বেগনি টুপি তাঁরই মাথায়। সাত ম্যাচে ১৪টি উইকেট নিয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন মহম্মদ সিরাজও।
ভারতীয় দল থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর শনিবারই কেকেআরের অনুশীলনে এসেছিলেন অভিষেক নায়ার। রবিবারও তিনি ছিলেন। দলের বেশ কিছু ক্রিকেটারকে নিয়ে আলাদা করে অনুশীলন করাতে দেখাতে গিয়েছে। গৌতম গম্ভীর না থাকলেও, তাঁর সহকারী নায়ার বুদ্ধিতে কম যান না। নায়ার-মন্ত্রে সোমবার কেকেআর জয়ে ফিরতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।
ভ্রম সংশোধন: প্রকাশের সময় এই প্রতিবেদনটির শিরোনামে প্রথমে ‘মঙ্গলবার’ লেখা হয়েছিল। ইডেনে কলকাতা-গুজরাত ম্যাচ সোমবার। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
১১ মৃত্যুর জের, আইপিএল জয়ের উৎসবে কী কী করা যাবে না, শনিবার ঠিক করবে বোর্ড, আর কী কী নিয়ে আলোচনা?
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ