আইপিএলে অনেক বিদেশি ক্রিকেটারই খেলছেন। কেউ ভাল, কেউ খারাপ। তবে দু’দলের দুই বিদেশির খেলা সহ্যই করতে পারছেন না বীরেন্দ্র সহবাগ। তাঁর মতে, এই দুই ক্রিকেটার ভারতে আসেন শুধু ছুটি কাটাতে। ভাল খেলার দিকে কোনও মনই নেই তাঁদের।
এই দুই ক্রিকেটার হলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং লিয়াম লিভিংস্টোন। প্রথম জন খেলেন পঞ্জাব। দ্বিতীয় জন বেঙ্গালুরুতে। এক ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারে সহবাগ বলেছেন, “আমার মনে হয় ম্যাক্সওয়েল এবং লিভিংস্টোনের খিদে কমে গিয়েছে। ওরা এখানে ছুটি কাটাতে আসে। ভারতে এসে শুধু মজা করে। তার পর ফিরে যায়। দলের জন্য লড়াই করার কোনও খিদে চোখে অন্তত দেখা যাচ্ছে না।”
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাক্সওয়েল বিধ্বংসী খেলার জন্য পরিচিত। একার হাতে ম্যাচ বদলে দিতে পারেন। তবে পঞ্জাবের হয়ে ছ’ম্যাচে মাত্র ৪১ রান করেছেন। গড় ৮.২০ এবং স্ট্রাইক রেট ১০০। বল হাতে নিয়েছেন চারটি উইকেট। তবে দুই বিভাগেই তাঁর ব্যর্থতা চোখ এড়ায়নি।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, লিভিংস্টোন মাঝেসাঝে বড় শট খেলার দক্ষতা দেখিয়েছেন। একটি অর্ধশতরান করলেও সাত ম্যাচে মাত্র ৮৭ রান করেছেন। রবিবার তাঁকে বসিয়েও দেয় বেঙ্গালুরু। ৮.৭৫ কোটি টাকা খরচ করলেও এখনও আস্থার দাম দিতে পারেননি লিভিংস্টোন। আংশিক সময়ের স্পিনার হিসাবেও ব্যর্থ।
সহবাগ বলেছেন, “প্রাক্তন অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গেই সময় কাটিয়েছি। মাত্র এক-দু’জনকে দেখে মনে হয়েছে যে দলের জন্য সত্যি করে কিছু করার খিদে ওদের রয়েছে। বাকিদের মধ্যে সেটাও নেই।”
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
১১ মৃত্যুর জের, আইপিএল জয়ের উৎসবে কী কী করা যাবে না, শনিবার ঠিক করবে বোর্ড, আর কী কী নিয়ে আলোচনা?
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ