রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
চার বছর আগে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে হেরেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে। আবার সেমিফাইনালে সামনে সেই কেন উইলিয়ামসনের দল। বিশ্বকাপে ভারতকে বার বার ভুগিয়েছে নিউ জ়িল্যান্ড। এ বার খেলা মুম্বইয়ের মাটিতে। ঘরের মাঠের, দর্শক সমর্থনের সুবিধা পাবেন রোহিত শর্মারা। তবু নিউ জ়িল্যান্ডকে হালকা ভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। এখনই ফাইনাল নিয়ে ভাবছে না ভারতীয় শিবির।
সেমিফাইনালে ভারতের প্রথম একাদশের পরিবর্তনের সম্ভাবনা প্রায় নেই। যে কয়েকটি ম্যাচের দল নিয়েই মাঠে নামবেন রোহিত। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সেমিফাইনালের আগের দিন তিনি বলেছেন, ‘‘নিউ জ়িল্যান্ড খুবই ভাল দল। আমার মতে, এই প্রতিযোগিতার সব থেকে শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। ওদের হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। বেশ ভাল ক্রিকেট খেলছে ওরা। নিউ জ়িল্যান্ড প্রতিপক্ষের মানসিকতা খুব ভাল বুঝতে পারে। তবে আমরাও জানি ওরা কী কী করতে পারে।’’ অর্থাৎ, গুরুত্ব দিলেও প্রতিপক্ষকে বাড়তি সমীহ করছেন না রোহিত। আগের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে হারও মাথায় রাখছেন না তিনি।
অধিনায়ক উইলিয়ামসন ছাড়াও রাচিন রবীন্দ্র, লকি ফার্গুসন, ডেভন কনওয়ে, মিচেল স্যান্টনার, ট্রেন্ট বোল্টের মতো ক্রিকেটার রয়েছেন নিউ জ়িল্যান্ডের। যাঁরা একক দক্ষতায় জয় ছিনিয়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে স্যান্টনার এবং বোল্টের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে ভারতীয় ব্যাটারদের। আবার উইলিয়ামসন, রবীন্দ্র, কনওয়েদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা মাফিক বল করতে হবে যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, কুলদীপ যাদবদের। ভারতের প্রায় সকলে ভাল ফর্মে রয়েছেন। এটা স্বস্তি হলে অস্বস্তিও রয়েছে। তা হল প্রতিপক্ষের একাধিক ব্যাটারের ফর্ম। ওয়াংখেড়ের ছোট মাঠে তাঁদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। যেমন বাঁহাতি বোলারদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে কোহলিদেরও।
রোহিতদের কাছে লিগের ম্যাচে হারলেও আত্মবিশ্বাসী নিউ জ়িল্যান্ড শিবির। সেই ম্যাচে অবশ্য কিউয়ি অধিনায়ক খেলতে পারেননি আঙুলের চোটের জন্য। বুধবার উইলিয়ামসন মাঠে থাকবেন। ভাল ফর্মেও রয়েছেন। ফার্গুসন বলেছেন, ‘‘আমরা কয়েকটা ম্যাচ খুব কাছে গিয়ে হেরেছি। এমন নয় যে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে। পাকিস্তানের কাছে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে হেরেছি। কিন্তু আমাদের মনোবল কমেনি। কারণ, আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি। সেটাই সেমিফাইনালে খেলতে চাই। ভারত কঠিন প্রতিপক্ষ হলেও ওদের হারানো অসম্ভব নয়।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘লিগ পর্বে ভারতের কাছে হেরেছিলাম। সেটা মাথায় আছে। ওদের শক্তি ও দুর্বলতা আমরা ভাল ভাবে জানি। সেই মতো পরিকল্পনা তৈরি করেছি। প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা পরিকল্পনা হয়েছে। সেগুলো মাঠে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’’
আধুনিক ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের কোনও কিছু অজানা থাকে না। প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের শক্তি-দুর্বলতা বিশ্লেষণ করে প্রস্তুতি নেয় সব দল। ওয়াংখেড়ের স্পিন সহায়ক উইকেটের সুবিধা কিছুটা হলেও থাকবে ভারতীয় দলের সঙ্গে। দর্শক সমর্থন যেমন ভারতীয় দল পাবে, তেমন প্রত্যাশার চাপও সামলাতে হবে রোহিতদের। সেই চাপ অবশ্য প্রতিযোগিতার প্রথম থেকেই সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। ভারতীয় দলের অধিনায়ক এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না। তবে তাঁর আত্মবিশ্বাসে কোনও ঘাটত নেই। টানা নয় ম্যাচ জেতা ভারতীয় দলের লক্ষ্য ঠান্ডা মাথায় ১০-এ ১০ করা। আপাতত ১৯ নভেম্বরের ফাইনালের ভাবনা নেই ভারতীয় শিবিরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy