ইমরানের খানের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। তার চার বছর পর ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক ছিল পাকিস্তান। তার প্রায় ২৯ বছর পর আবার কোনও বিশ্বমানের প্রতিযোগিতার আয়োজক পাকিস্তান। অথচ আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেই ইমরানকে নাকি দূরে রাখতে চাইছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তারা। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো ঘিরে এমনই অভিযোগ উঠছে। তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছে ‘ইমরান খান এনক্লোজার’। সম্প্রতি স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে প্রাক্তন অধিনায়কের নামের সেই বোর্ড খুলে ফেলতে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর জল্পনা তৈরি হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। অনেকে মনে করছেন, ইমরানের নাম কোথাও রাখতে চাইছেন না পিসিবি কর্তারা।
ইমরান শুধু পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক নন, তিনি পাকিস্তানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও। দুর্নীতির অভিযোগে তিনি এখন জেলবন্দি। মনে করা হচ্ছে, গদ্দাফি স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে ইমরানের নাম লেখা বোর্ড খুলে নেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক কারণ। পাকিস্তানের বর্তমান শাসকদলের বিরোধী ইমরান। তাই পাক সরকার চাইছে না, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো প্রতিযোগিতায় কোথাও ইমরানের নাম থাকুক। তা ছাড়া তিনি দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি। দেশের ভাবমূর্তির স্বার্থেও ইমরানের নাম স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের এই অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন পিসিবি কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও স্টেডিয়াম থেকেই কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটারের নামে থাকা এনক্লোজার বা স্ট্যান্ডের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে না। পিসিবির এক কর্তা বলেছেন, ‘‘কোনও এনক্লোজার বা স্ট্যান্ডের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে না। সব আগের মতোই থাকবে। সংস্কারের কাজের জন্য আপাতত বোর্ড খুলে নেওয়া হয়েছে। কাজ শেষ হলে আবার বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন:
বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ১৯৯২ সালে ইমরানকে সম্মানিত করেছিল পিসিবি। তখন গদ্দাফি স্টেডিয়ামের একটি ভিআইপি এনক্লোজারের নামকরণ করা হয় ইমরানের নামে। তা কখনও পরিবর্তন করা হয়নি। পিসিবি কর্তাদের আশ্বাস, এ বারও কোনও পরিবর্তন হবে না।