বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র
পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমে বাবর আজ়মের গোপন হোয়াট্সঅ্যাপ কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনার পরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বাবরের অনুমতি না নিয়ে তাঁর গোপন কথা প্রকাশ্যে আনার জন্য সমালোচনা করেছেন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন সেই টেলিভিশন সঞ্চালক ওয়াসিম বদামি। কার নির্দেশে তিনি ওই কথোপকথন প্রকাশ্যে এনেছিলেন সে কথাও জানিয়েছেন বদামি।
সমাজমাধ্যমে বদামি লিখেছেন, ‘‘অনেক সময় আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই ক্ষেত্রেও নিতে হয়েছিল। কোনও সিদ্ধান্ত ঠিক হয়। আবার কোনও সিদ্ধান্ত ভুল। তবে এ ক্ষেত্রে আমার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ভাবে ব্যক্তিগত কথোপকথন প্রকাশ্যে আনা উচিত হয়নি।’’
বদামি জানিয়েছেন, তাঁরা প্রথমে বাবরের কথোপকথন প্রকাশ্যে আনতে চাননি। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান জ়াকা আশরফের নির্দেশে সেটা করেন। বদামি লেখেন, ‘‘অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ৫-৭ মিনিট আগে আমরা আশরফের কাছে একটা ভিডিয়ো বার্তা পাই। সেখানে উনি আমাদের সেই কথোপকথন প্রকাশ্যে আনতে বলেন। আমরা ভেবেছিলাম যে আশরফের নির্দেশের পরে সেটা করা যায়। কিন্তু বাবরের কাছেও যে অনুমতি নিতে হবে সেটা মাথায় আসেনি। তার জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।’’
ঠিক কী হয়েছিল?
পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ দাবি করেছিলেন, বাবর পিসিবি প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পিসিবি প্রধান অধিনায়কের ফোন ধরেননি। পরে বাবর হোয়াট্সঅ্যাপ করেন। তারও জবাব দেননি আশরফ। প্রথম থেকেই এই অভিযোগ স্বীকার করেছেন পিসিবি চেয়ারম্যান। জানিয়ে ছিলেন। বিশ্বকাপে দলের হতাশজনক পারফরম্যান্সকে কেন্দ্র করে বাবরের সঙ্গে তাঁর কোনও দূরত্ব তৈরি হয়নি। তাতেও সমালোচনা বন্ধ হয়নি। বোর্ড প্রধানের ভূমিকা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে। সেই সমালোচনা বন্ধ করতেই বাববের মেসেজ প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন আশরফ।
টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের চিফ অপারেটিং অফিসার সলমন নাসেরকে পাঠানো বাবরের একটি হোয়াট্সঅ্যাপ মেসেজ দেখান আশরফ। সেই বার্তা সংশ্লিষ্ট টেলিভিশন চ্যানেলটিও প্রচার করেছে। তাতে নাসের বাবরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি পিসিবি চেয়ারম্যানকে ফোন করেছিলেন কিনা। তিনি লেখেন, ‘‘বাবর, টেলিভিশন এবং আর সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে যে, তুমি চেয়ারম্যানকে ফোন করেছ। কিন্তু তিনি ফোন ধরছেন না। তুমি কি তাঁকে ফোন করেছিলে?’’ উত্তরে বাবর জানিয়েছেন, ‘‘সালাম সলমন ভাই। আমি স্যরকে কোনও ফোন করিনি।’’ বাবরের মেসেজ দেখানোর পর সেই অনুষ্ঠানে আশরফ বলেন, ‘‘রশিদ বলেছেন, আমি নাকি বাবরের ফোন ধরি না। আসলে বাবর আমাকে কখনও ফোন করে না। ও সব সময় দলের ডিরেক্টর ইন্টারন্যাশনাল বা চিফ অপারেটিং অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে।’’ এই খবরের পরেই সমালোচনা শুরু হয়। চাপে পড়ে ক্ষমা চাইলেন বদামি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy