বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
এক দিনের সিরিজ় দেখে মনে হয়েছিল, টি-টোয়েন্টি সিরিজ়েও সমস্যা হবে অস্ট্রেলিয়ার। পাকিস্তানের বোলারদের সামলাতে সমস্যা হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের। কিন্তু ফরম্যাট বদলাতেই ছবিটাও বদলে গেল। পর পর দু’ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ় জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। বাকি আর একটি ম্যাচ। সিরিজ়ে চুনকাম হওয়ার আশঙ্কা পাকিস্তানের সামনে।
দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত রান তুলছিল অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার ম্যাথু শর্ট ও জেক-ফ্রেজ়ার ম্যাকগার্ক বড় শট খেলছিলেন। তিন ওভারের মধ্যেই তাদের ৫০ রান পূর্ণ হয়ে যায়। পাকিস্তানকে খেলায় ফেরান হ্যারিস রউফ। ২০ রানের মাথায় ম্যাকগার্ককে আউট করেন তিনি। ৩২ রানের মাথায় শর্টের উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি। অধিনায়ক জশ ইংলিশ শূন্য রানে ফেরেন।
পর পর উইকেট পড়ায় অস্ট্রেলিয়ার রান তোলার গতি কমে যায়। শুরুতে যেখানে মনে হচ্ছিল ২০০-র বেশি রান হবে সেখানে ১৫০ করা কঠিন হয়ে পড়ে। পরের কোনও ব্যাটারই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। রউফ ৪টি ও আফ্রিদি ৩টি উইকেট নেন।
রান খুব বেশি না থাকলেও পাকিস্তানের শুরুটা ভাল হয়নি। এই ম্যাচে ওপেন করতে নামেন বাবর আজ়ম ও মহম্মদ রিজ়ওয়ান। পুরনো এই জুটি এই ম্যাচে চলেনি। বাবর ৩ রানে আউট হন। রিজ়ওয়ান করেন ১৬ রান। পাকিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে উসমান খান ও ইরফান খান ছাড়া কেউ রান পাননি। এই দুই ব্যাটার লড়াই করেন।
৪৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। এক দিকে উসমান বড় শট খেলছিলেন। অর্ধশতরান করেন তিনি। কিন্তু দলকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেননি। ৫২ রানে আউট হন। উসমান যেখানে শেষ করেন সেখান থেকে শুরু করেন ইরফান। অন্য প্রান্তে পর পর উইকেট পড়লেও পাকিস্তানের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ইরফান। কিন্তু কারও সঙ্গ পাননি তিনি। দু’বল বাকি থাকতে ১৩৪ রানে অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে যান ইরফান। ১৩ রানে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া। তাদের বোলারদের মধ্যে সফলতম স্পেনসার জনসন। ২৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy