মহড়া: অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের প্রস্তুতিতে বাবর, ইমাম, হাসানরা। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে। ছবি: পিটিআই।
ভারতের বিরুদ্ধে হার ‘যন্ত্রণাদায়ক’ তবে তা ভুলে এখন তাঁরা অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেই মন দিতে চান। বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপে স্টিভ স্মিথদের মুখোমুখি হওয়ার আগে বলছেন পাকিস্তানের পেসার হাসান আলি।
আমদাবাদে পাকিস্তানকে সাত উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। সেই ধাক্কা কাটিয়ে পাঁচ বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হাসানরা। ‘‘খুব যন্ত্রণার ছিল হারটা (ভারতের বিরুদ্ধে)। তবে এতেই সবকিছু শেষ হয়ে গেল এমন নয়। আমাদের গাড়িটা সামনে এগিয়ে যাচ্ছিল ভালভাবেই। ভারতের বিরুদ্ধে একটু থমকে গিয়েছিল। তবে সামনে আরও বড় স্টপ রয়েছে,’’ বেঙ্গালুরুতে ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকেবলেন হাসান।
পাক পেসার বলেছেন ভারতের বিরুদ্ধে হারের পরে দল আলোচনার বসেছিল এবং অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে কী ভাবে আরও উন্নতি করা হয় তা নিয়ে কথা হয়েছে। ‘‘আলোচনায় সবকিছু নিয়েই কথা হয়েছে। যে যে বিষয়গুলো উন্নতি করতে হবে তা নিয়েও। অস্ট্রেলিয়া সহজ প্রতিপক্ষ নয়। তবে আমরাও কম যাই না। আমরা বিশ্বকাপ জিততে এসেছি। চেষ্টা করব ভাল ক্রিকেট খেলতে,’’ বলেন হাসান।
তবে হাসান স্বীকার করে নিয়েছেন বরাবর যা তাঁদের অস্ত্র সেই পাক বোলিং এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে আগুন ঝরাতে পারেনি। ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের বোলিং সে ভাবে সফল হতে পারেনি। ভারত-পাকিস্তান এমন একটা ম্যাচ যা কারও কারও ভবিষ্যৎ গড়ে দেয় বা ভেঙে দেয়। এটাই সত্যি,’’ বলেন হাসান। সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘হয়তো এই ম্যাচটা অন্য কোনও দলের বিরুদ্ধে হলে এত কথা আমাদের কাছে কেউ জানতেই চাইত না। তবে আমরা সামনের দিকে তাকিয়ে এগোতে চাই। আমাদের আত্মবিশ্বাসের কোনও অভাব নেই।’’
ভিসা সমস্যায় এখনও বেশ কিছু পাক সমর্থক এখনও ভারতে আসতে পারেননি। সেই প্রসঙ্গেও কথা বলেন হাসান। তিনি বলেন, ‘‘অবশ্যই আমরা সমর্থকদের অভাব অনুভব করছি এখানে খেলতে নেমে। কিন্তু এটা তো আমাদের হাতে নেই। পেশাদার হিসেবে আমাদের ক্রিকেটেই মন দিতে হবে। আপনারা, পাকিস্তানের সাংবাদিকরা ভারতে আসার পরে আমাদের সমর্থক বেড়েছে। আপনাদের ভিসা পাওয়ার পাশাপাশি আমাদের ৪০ জন সমর্থক থেকে বেড়ে এখন ৫০ এর কাছাকাছি হয়েছে।’’ নাসিম শাহ চোট না পেলে হাসানের হয়তো বিশ্বকাপে খেলাই হত না। নিজেকে তাই ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। হাসান মনে করেন, শাহিন শাহ আফ্রিদির উপরে বেশি চাপ দেওয়াটা ঠিক নয়। ‘‘মনে হয় আমার এই ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে নামাটা আপনারা পছন্দ করছেন না। তবে আমার গর্ব হচ্ছে। শাহিন আমাদের অনেক ম্যাচে জিতিয়েছে। এখনও ও ফিট নয়। কিন্তু খুব দ্রুত ও ফিট হয়ে যাবে। ও চ্যাম্পিয়ন বোলার,’’ বলেন তিনি।
শুধু শাহিনের ছন্দে না থাকাটাই নয়, পাকিস্তানের চিন্তার কারণ হতে পারে চোট-আঘাত। পাঁচ জন পাকিস্তানের ক্রিকেটারকে নেটে দেখা যায়নি এ দিন। এদের মধ্যে আছেন ফখর জমান। তিনি হাঁটুর চোট সারিয়ে উঠছেন। এই তালিকার আছেন সলমান আলি আঘা। তিনি জ্বর থেকে উঠেছেন। এ ছাড়া পেসার হ্যারিস রউফ, লেগস্পিনার উসমা মির এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইফতিকার আহমেদও নেটে ছিলেন না বৃহস্পতিবার। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লেগস্পিনার শাদাব খানের জায়গায় মির খেলবেন, এমনটাই ভেবেছিলেন অনেকে।
দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়-হারের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া অনেক এগিয়ে। ৬৯-৩৪। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে এই পরিসংখ্যান ৬-৪। তবে এ বারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভাল হয়নি। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পরে তারা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম জয়ের মুখ দেখে। দেখার অস্ট্রেলিয়াকে আরও চাপে ফেলতে পারে কি না পাকিস্তান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy