বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে বোল্ড হওয়ার পরে পাকিস্তানের বাবর আজ়ম। ছবি: পিটিআই।
পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ মনে করছেন, একটু তাড়াতাড়ি ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন তাঁরা। আরও একটু ব্যাট করলে ভাল হত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট হেরেছে পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে ডিক্লেয়ার দিয়েছিল পাকিস্তান। তাড়াতাড়ি ডিক্লেয়ার করার জন্যই কি হারতে হল তাদের? এই প্রশ্ন উঠছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে আরও তিন বার ডিক্লেয়ার করে হেরেছে পাকিস্তান।
শুরুটা হয়েছিল ১৯৬১ সালে। লাহোরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৩৮৭ রানে ডিক্লেয়ার করেছিল পাকিস্তান। ৫ উইকেটে সেই ম্যাচ হেরেছিল তারা। দ্বিতীয় বার এই ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭২ সালে। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে ৫৭৪ রানে ডিক্লেয়ার দিয়েছিল তারা। তার পরেও হারতে হয়েছিল। তৃতীয় বার ২০১৬ সালে আবার সেই মেলবোর্নেই একই ভাবে হারে পাকিস্তান। সে বার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে ৪৪৩ রানে ডিক্লেয়ার দেওয়ার পরে ইনিংস ও ১৮ রানে হারতে হয়েছিল তাদের। চতুর্থ ঘটনা ঘটল রাওয়ালপিন্ডিতে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। টেস্টের ইতিহাসে মোট ২৬ বার এই ঘটনা ঘটেছে যে, কোনও দল ডিক্লেয়ার দেওয়ার পরেও হেরেছে। তার মধ্যে চার বার এই ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের সঙ্গে।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ডিক্লেয়ার দেয় পাকিস্তান। শতরান করেন শাকিল ও রিজ়ওয়ান। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান করে বাংলাদেশ। তাদের হয়ে ১৯১ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ৯৩ রান করেন শাদমান ইসলাম। পাকিস্তানের থেকে ১১৭ রান এগিয়ে শেষ করে বাংলাদেশ। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অল আউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে ১১৩ ওভার ব্যাট করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫৫.৫ ওভার ব্যাট করতে পারে তারা। ব্যাটিং ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয় বাবরদের। ১০ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের অধিনায়ক মাসুদও হারের সম্ভাব্য কারণ হিসাবে তাড়াতাড়ি ডিক্লেয়ার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাক অধিনায়ক বলেন, “অজুহাত দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। তবে দুটো কথা মাথায় আসছে। এই পিচে চার জন পেসার নিয়ে নামা উচিত হয়নি। আমরা পিচ বুঝতে পারিনি। টেস্টের আগে ৮-৯ দিন বৃষ্টি হয়েছিল। ভেবেছিলাম পিচ থেকে পেসারেরা সাহায্য পাবে। কিন্তু উল্টো হয়েছে। পিচ থেকে পেসারেরা কোনও সাহায্য পায়নি। এক জন বেশি স্পিনার খেলালে হয়তো ভাল হত। প্রথন ইনিংসে ডিক্লেয়ার দেওয়াও উচিত হয়নি। ভেবেছিলাম, তাড়াতাড়ি ইনিংস শেষ করলে হয়তো ম্যাচের ফয়সালা হবে। কিন্তু পঞ্চম দিন পিচ এই রকম হয়ে যাবে ধরতে পারিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy