সাউদ শাকিল। —ফাইল চিত্র
শ্রীলঙ্কার স্পিনার ধনঞ্জয় ডি সিলভার বলে পয়েন্ট এলাকায় শট খেলেই মাথা থেকে হেলমেট খুলে ফেললেন তিনি। তার পর দু’হাত বাড়িয়ে সাজঘরের দিকে তাকালেন। সাজঘরে তখন হাততালি দিচ্ছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজ়ম-সহ বাকি ক্রিকেটারেরা। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়ার হাত থেকে দলকে বাঁচিয়েছেন তিনি। উল্টে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৪৯ রানের বড় লিড এনে দিয়েছেন সাউদ শাকিল। তাঁর অপরাজিত ২০৮ রান ভরসা দিয়েছে দলকে। অথচ ২৭ বছর বয়সে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হয়েছে তাঁর। আর মাত্র ছ’টি টেস্টেই সুনীল গাওস্করের মতো ক্রিকেটারের নজির ছুঁয়ে ফেলেছেন শাকিল। কেরিয়ারের প্রথম ছ’টি টেস্টেই অর্ধশতরান করেছেন শাকিল। এই নজির রয়েছে গাওস্করেরও।
দেরিতে অভিষেক হলেও পাকিস্তান ক্রিকেটে শাকিল অপরিচিত নাম নন। ২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ছয় ম্যাচে ১২৭ রান করেছিলেন। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভাল খেলেছেন। ২০১৮ সালে কায়েদ ই আজ়ম ট্রফিতে সব থেকে বেশি রান করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। ২০২১ সাল থেকে পাকিস্তান দলে থাকলেও প্রথম একাদশে সুযোগ পেতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু এক বার অভিষেকের পর থেকে আর আটকানো যায়নি তাঁকে।
পাকিস্তানের হয়ে ছ’টি টেস্টে ৭৮৮ রান করেছেন শাকিল। ৯৮.৫০ গড়ে রান করেছেন তিনি। ছ’টি টেস্টেই অন্তত একটি করে অর্ধশতরান করেছেন তিনি। এর আগে এই কীর্তি ছিল ভারতের সুনীল গাওস্কর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বাসিল বুচার, পাকিস্তানের সঈদ আহমেদ ও নিউ জ়িল্যান্ডের বার্ট সুটক্লিফের। সেই তালিকায় পঞ্চম নাম শাকিল। এর আগের টেস্টে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম শতরান করেছিলেন তিনি। এ বার দ্বিশতরান এল তাঁর ব্যাট থেকে।
সোমবার খেলা শেষে শাকিল অপরাজিত ছিলেন ৬৯ রানে। পাকিস্তানের তখন ২২১ রানে পাঁচ উইকেট। তৃতীয় দিনে এক সময় ৩৪৬ রানে আট উইকেট হারায় পাকিস্তান। তখনও ২০০ রান থেকে অনেক দূরে ছিলেন শাকিল। তিনি যে দ্বিশতরান করতে পারবেন তা ভাবাই যায়নি। কিন্তু নাসিম ৭৮ বল টিকে রইলেন ক্রিজে। ৪০.২ ওভার ব্যাট করলেন। শাকিল এবং নাসিম মিলে জুটিতে ৯৪ রান তুলল। এর মধ্যে মাত্র ছ’রান করেছেন নাসিম। যদিও শাকিল যখন ২০০ রানের গণ্ডি পার করলেন, তখন নাসিম আউট হয়ে গিয়েছেন। তবে ২০০ রানের জন্য নাসিমের ধন্যবাদ প্রাপ্য শাকিলের কাছে।
শাকিল যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন, তখন পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৬৭ রানে তিন উইকেট। সেখান থেকে প্রথমে বাবর আজ়মকে নিয়ে প্রথম জুটি গড়েছিলেন। এর পর একে একে সরফরাজ আহমেদ, আঘা সলমন, নোমান আলি, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং আবরার আহমেদের সঙ্গে জুটি গড়েন শাকিল। এর মধ্যে বড় রান পেয়েছেন একমাত্র সলমন। তিনি ৮৩ রান করেন। নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে নিয়ে শাকিল যে ইনিংস খেললেন তা দেখে মুগ্ধ পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর। পাকিস্তান অল আউট হওয়ার পরে যখন অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ছেন শাকিল তখন তাঁকে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন বাবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy