বেন স্টোকসদের বাজ়বল ক্রিকেট খেলার ভাবনায় আরও একটি দল। —ফাইল চিত্র।
বাবর আজ়মেরাও এ বার খেলতে পারেন বাজ়বল ক্রিকেট। পাকিস্তানের কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। টেস্ট, এক দিনের ক্রিকেট বা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট— সব ক্ষেত্রেই পাকিস্তানকে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলাতে চান তিনি। তাঁর দাবি, এক দিনের বিশ্বকাপেও নতুন মেজাজে দেখা যাবে পাকিস্তানকে।
নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ইংল্যান্ড টেস্ট দলের কোচ হওয়ার পর বদলে দিয়েছেন লাল বলের ক্রিকেটের ধারণা। বেন স্টোকসদের বাজ়বল (ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাচ্ছেন দলকে। যে হেতু তাঁর ডাকনাম ‘বাজ়’, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকে বাজ়বল বলা হচ্ছে।) ক্রিকেট খেলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাতে ফলও পাচ্ছেন স্টোকসেরা। ক্রিকেট মহলে ইংল্যান্ডের বাজ়বল ক্রিকেট নিয়ে চলছে আলোচনা। কোচেদের অনেকেই প্রভাবিত হচ্ছেন ম্যাকালামের ক্রিকেট দর্শনে। ব্যতিক্রম নন পাকিস্তানের কোচ ব্র্যাডবার্নও। তিনিও ম্যাকালামের মতোই নিউ জ়িল্যান্ডের লোক। তিনি মনে করছেন আধুনিক ক্রিকেট যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে আগ্রাসী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। এক দিনের বিশ্বকাপেও বাবরদের আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আগামী সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার মাটিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ় খেলবে পাকিস্তান। এই সিরিজ় থেকেই পাকিস্তানকে নতুন চেহারায় দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাডবার্ন। পাকিস্তান কোচ বলেছেন, ‘‘বোলার কখন একটা খারাপ বল করবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে রাজি নই। আমরা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার কথা ভাবছি। অপেক্ষা করে সময় নষ্ট করতে চাই না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা দক্ষতা অনুযায়ী কিছু প্রস্তুতি নিচ্ছি। ম্যাচে সেগুলো প্রয়োগ করাই আমাদের লক্ষ্য। এটা ক্রিকেটারদের প্রতি কোচের অনুরোধ বা নির্দেশ নয়। এটা ওদের জন্যই দরকার। সারা বিশ্বের ক্রিকেট এগিয়ে চলেছে। আমরা জেতার জন্য মাঠে নামতে চাই। তাই জেতার মতো ক্রিকেটই খেলতে হবে।’’
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সাদা বলের সিরিজ়ে এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজ়ে আগ্রাসী মেজাজে দেখা গিয়েছিল বাবরদের। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ় হোক বা এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপে তেমনই আগ্রাসী ক্রিকেটের পরিকল্পনা করেছেন ব্র্যাডবার্ন। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে তিন দিন প্রস্তুতি শিবিরে একাধিক ক্রিকেটারকে পাচ্ছেন না তিনি। শাহিন আফ্রিদি, শাদাব খান, হ্যারিস রউফ, উসামা মিরেরা ব্যস্ত ইংল্যান্ডে দ্য হান্ড্রেড খেলতে। অধিনায়ক বাবর ছাড়াও ফকর জামান, মহম্মদ হ্যারিস, নাসিম শাহ, মহম্মদ নওয়াজ, ইফতিকার আহমেদরা খেলছেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে।
প্রথম একাদশের অধিকাংশ ক্রিকেটারকে প্রস্তুতি শিবিরে না পেলেও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন পাক কোচ। ব্র্যাডবার্নের বক্তব্য, ‘‘আমাদের কিছু ছেলে দ্য হান্ড্রেড, এলপিএল খেলছে। খেলার মধ্যে থাকা সব সময় ভাল। এই দুই প্রতিযোগিতাতেই ওরা আগ্রাসী ক্রিকেটই খেলছে। ফলে সমস্যা হবে না।’’
গত মে মাসে পাকিস্তান জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন ব্র্যাডবার্ন। এশিয়া কাপ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ক্রিকেট ডিরেক্টর মিকি আর্থারের। তা নিয়ে ব্র্যাডবার্ন বলেছেন, ‘‘আর্থারের সঙ্গে কাজ করতে ভালই লাগবে। আমরা কোচ হিসাবে একই রকম। আমাদের মুখে সবাই একই কথা শুনবে। আর্থার আমার দীর্ঘ দিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমাদের মধ্যে প্রায় রোজই কথা হয়। আগ্রাসী ক্রিকেটের ভাবনা আর্থার জানে। ও যত তাড়াতাড়ি দলের সঙ্গে যোগ দেবে তত ভাল হবে।’’
পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা কি বাজ়বল খেলার জন্য প্রস্তুত? ব্র্যাডবার্ন বলেছেন, ‘‘আমাদের কয়েকটা জায়গায় উন্নতি করতে হবে। কিছু দক্ষতা আয়ত্ত করতে হবে। ইনজামাম উল হক প্রধান নির্বাচক হওয়ায় সুবিধা হবে। ক্রিকেট নিয়ে ইনজামামের ভাবনা অত্যন্ত স্বচ্ছ। ওর ভাবনাও কাজে লাগাতে চাই আমরা।’’ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজ় থেকেই নতুন ক্রিকেট শুরু করে দিতে চান ব্র্যাডবার্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy