শান মাসুদ। — ফাইল চিত্র।
বাবর আজমের পদত্যাগের পর পাকিস্তানের টেস্ট দলের অধিনায়ক করা হয়েছে তাঁকে। দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনাও হয়েছেন তিনি। সেই শান মাসুদকেই রওনা হওয়ার আগে অপ্রীতিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল। কারণ বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সবচেয়ে নীচে থাকা বিভাগে ছিলেন তিনি। এই নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিল পাক বোর্ডও। রাতারাতি সেই চুক্তি বাড়িয়ে দেওয়া হল। তাতেও বিতর্ক এড়াতে পারছে না পাক বোর্ড।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ২৫ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি করে পাক বোর্ড। চারটি স্তর রয়েছে সেই চুক্তিতে। সবচেয়ে নীচের স্তর, অর্থাৎ ‘ডি’ বিভাগে রাখা হয়েছিল মাসুদকে। সর্বোচ্চ বিভাগে রয়েছেন বাবর, মহম্মদ রিজ়ওয়ান, শাহিন আফ্রিদির মতো ক্রিকেটারেরা, যাঁরা সব ফরম্যাটেই খেলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাসুদকে তুলে আনা হয়েছে ‘বি’ বিভাগে। পাক বোর্ড জানিয়েছে, তাদের নিয়ম অনুযায়ী ‘এ’ বা ‘বি’ বিভাগে থাকা ক্রিকেটারদের বাইরে কাউকে অধিনায়ক করা হলে তাদের ‘বি’ বিভাগে নিয়ে আসা হবে। তবে এই ‘পদোন্নতি’ শুধুমাত্র অধিনায়ক থাকার সময়েই। অর্থাৎ অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে মাসুদ আবার নেমে যেতে পারেন ‘ডি’ বিভাগে।
অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে মাসুদকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সবচেয়ে কম বেতনভুক্ত ক্রিকেটার হয়েও দেশের অধিনায়কত্ব পেয়ে তাঁর অনুভূতি কী রকম? মাসুদের উত্তর ছিল, “আমার কাছে দেশই সবার আগে। কোন বিভাগে রয়েছি সেটা নিয়ে বেশি ভাবি না। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকাই আমার কাছে বিরাট সম্মানের। আমি দায়িত্বটা উপভোগ করছি। কোন বিভাগে রয়েছি সেটা নিয়ে আমার কোনও চিন্তা নেই।”
প্রসঙ্গত, টেস্ট ক্রিকেটে এক দশক আগে মাসুদের অভিষেক হলেও কোনও দিনই নিজের জায়গা শক্ত করতে পারেননি। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স না থাকায় বার বার দল থেকে বাদ পড়েছেন। দীর্ঘ সময়ও দলের বাইরে থাকতে হয়েছে। গত বছর ইংল্যান্ড সিরিজ়ে দলে ফেরত। আর অস্ট্রেলিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ়ের আগে তাঁর কাঁধেই রয়েছে নেতৃত্বের দায়িত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy