শতরানকারী আবদুল্লার (ডান দিকে) সঙ্গে বাবর (বাঁ দিকে) ছবি: টুইটার
ক্রিকেটকে কেন ‘মহান অনিশ্চয়তার খেলা’ বলা হয় তা আরও এক বার প্রমাণ করল পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার গলের মাঠে এর আগে ৩০০-র বেশি রান তাড়া করে জেতেনি কোনও দল। সেই মাঠেই চতুর্থ ইনিংসে ৩৪৪ রান করলেন বাবর আজমরা। প্রথম টেস্টে ৪ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
টেস্টের শেষ দিন জয়ের জন্য ১২০ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। হাতে ছিল ৭ উইকেট। ১১২ রান করে ব্যাট করছিলেন ওপেনার আবদুল্লা শফিক। সঙ্গে ছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান। ওপেনার আবদুল্লাকে আউট করতে পারলেন না শ্রীলঙ্কার বোলাররা। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি।
পঞ্চম দিন শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটার। শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা অনেক চেষ্টা করলেও উইকেট নিতে পারছিলেন না। দেখে মনে হচ্ছিল এই দুই ব্যাটার পাকিস্তানকে জিতিয়ে দেবেন। কিন্তু ৪০ রানের মাথায় রিজওয়ান আউট হওয়ার পরে খেলার ছবি কিছুটা বদলায়। আঘা সলমন ও হাসান আলি রান পাননি। জেতার ক্ষীণ আশা তৈরি হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মনে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন একা আবদুল্লা।
চতুর্থ ইনিংসে ৪০৮ বল খেললেন আবদুল্লা। দেখে মনে হয়নি বিশেষ সমস্যায় পড়েছেন। অহেতুক ঝুঁকি নেননি। চার-ছক্কার থেকে এক রান, দু’রানের উপর বেশি ভরসা করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন আবদুল্লা। মারেন মাত্র সাতটি চার ও একটি ছক্কা। তাঁকে সঙ্গে দেন মহম্মদ নওয়াজ। ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার জয়ের নায়ক হয়েছিলেন স্পিনার প্রভাত জয়সূর্য। দু’ইনিংস মিলিয়ে ১২টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেও দলকে জেতাতে পারলেন না জয়সূর্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy