শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে আশাবাদী জয়সূর্য। ছবি: টুইটার।
শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিকদেরই দায়ী করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য। দেশের বেহাল অর্থনীতি এবং সরকারের ভূমিকা নিয়ে আগেই সোচ্চার হয়েছেন তিনি। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে যেমন ক্ষুব্ধ, তেমনই সাধারণ মানুষের দুর্দশায় ব্যথিত বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার।
জয়সূর্যের আশা শ্রীলঙ্কায় অস্থিরতা চললেও ক্রিকেটে তার প্রভাব পড়বে না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ যেমন সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে, তেমনই হবে এশিয়া কাপও। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি আশাবাদী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ সুষ্ঠু ভাবেই আয়োজন করা যাবে। ক্রিকেটের জন্য কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। দেশের মানুষ ক্রিকেট ভালবাসেন। ক্রিকেটারদের ভালবাসেন। ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে তো মানুষের কোনও অভিযোগ নেই। শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য ক্রিকেট কর্তারা সমস্ত সহযোগিতাই পাবেন।’’
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতিতে যোগ দেন জয়সূর্য। দেশের মন্ত্রিত্বের দায়িত্বও সামলেছেন। তাঁর মতে, দেশের দ্রুত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হলে বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। এক সাক্ষাৎকারে জয়সূর্য বলেছেন, ‘‘দেশের পরিস্থিতি ভীষণ খারাপ। মানুষ খুবই কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। যতটা সম্ভব সাহায্য করার। দেশে জ্বালানি তেল নেই। ওষুধ নেই। বিদ্যুৎ নেই। সাধারণ মানুষের দুর্দশা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।’’
পরিস্থিতি এতটা খারাপ হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষকেই দায়ী করেছেন জয়সূর্য। দেশের রাষ্ট্রপতি বাসভবন সাধারণ মানুষের দখলে চলে গিয়েছে। তা নিয়ে জয়সূর্য বলেছেন, ‘‘আমি তো কিছু ভুল দেখছি না। ওঁরা তো শান্তিপূর্ণ ভাবেই প্রতিবাদ করছেন। যত দূর জানি ওঁরা কোনও কিছুর ক্ষতি করেননি। রাষ্ট্রপতির বাসভবনে অনেক মূল্যবান জিনিস রয়েছে। সে সবে কেউই হাত দেননি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ কলম্বোয় এসেছেন। সকলেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চাইছেন। অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা তো ঘটেনি।’’
শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক চাইছেন দেশে দ্রুত গণতন্ত্র ফিরুক। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘের ভূমিকা নিয়ে অখুশি নন। জয়সূর্য বলেছেন, ‘‘রনিলের তেমন কিছুই করার নেই। এই পরিস্থিতিতে উনি স্পিকারের নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য। ওঁর উচিত দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা। বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসার সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা উচিত ওঁর। দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা উচিত প্রধানমন্ত্রীর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy