একটি ক্যাচ নেওয়ার পর স্টোকসের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।
অ্যাশেজ়ের মতো কঠিন সিরিজ়ে ০-২ পিছিয়ে গিয়েও ২-২ করে ফেলা। এমনকি ম্যাঞ্চেস্টারে বৃষ্টি বাধা না দিলে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ়ও জিততে পারত ইংল্যান্ড। টেনিসে যে ভাবে দু’সেট হেরেও প্রত্যাবর্তন ঘটানো যায়, অনেকটা সে রকমই দেখা গেল অ্যাশেজ়ে। প্রথম দু’টি ম্যাচে হারের পর তো ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম বলেই ছিলেন, এখনও তিনটি সেট বাকি! সেটাই দেখা গেল সিরিজ় শেষে। অ্যাশেজ় না জেতায় কোনও আক্ষেপ নেই ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকসের। বরং তাঁর মতে, তাঁরা যে কাজ করে দেখিয়েছেন তা খুব কম দলই পারে।
ম্যাচের পর স্টোকস বলেন, “বেশ ভালই লাগছে আমার। ২-২ ফল এটাই প্রমাণ করে যে কোনও দলই কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন। কত ভাল দল এর থেকেই বোঝা যায়। কিন্তু ০-২ পিছিয়ে থেকে ফিরে আসা, আমার মনে হয় না যেটা করেছি আমরা তা খুব বেশি দল পারবে। তাই এখানে দাঁড়িয়ে সিরিজ়ের ফল নিয়ে আমি খুশি।”
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে চতুর্থ ইনিংসে প্রায় চারশোর কাছাকাছি রান তাড়া করা যে কঠিন ছিল এটা মেনে নিয়েছেন স্টোকস। বলেছেন, “বহু বার আমরা চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করেছি। তাই কাজটা কতটা কঠিন সেটা জানি। যে রান অস্ট্রেলিয়া করেছে তার জন্যে গর্বিত হওয়া উচিত। কারণ ২৫০-এর বেশি রান তাড়া করতে হলে সেটা মোটেই সহজ নয়।”
পঞ্চম টেস্ট জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ক্রিস ওকস এবং মইন আলি। তাঁদের সম্পর্কে স্টোকস বলেছেন, “ওকস যে ভাবে শুরুর দিকে এসে রান নিয়ন্ত্রণ করল তা অসাধারণ। কিন্তু প্রশংসা প্রাপ্য মার্ক উডেরও। কালকে হাঁটতেও পারছিল না ভাল করে। প্রচুর চেষ্টা করে আজ বল করতে পেরেছি। ব্রডের সম্পর্কে আলাদা করে কী আর বলব। অবিশ্বাস্য ক্রিকেটার। এত বছর ধরে ওর সঙ্গে খেলেনি। ও যে শেষ উইকেটটা নেবে এটা হয়তো আগে থেকেই লেখা ছিল।”
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও মেনে নিয়েছেন, ২-২ ফল তাদের কাছে ভালই। বলেছেন, “দুটো এত ভাল দল মুখোমুখি হলে ফলাফল তো এমন হবেই। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, একটা দারুণ সিরিজ়ের অংশ থাকলাম। এখানে অ্যাশেজ় জিততেই এসেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত সেটা হল না।” অ্যাশেজ় না জেতায় কোনও আক্ষেপ রয়েছে? কামিন্স বললেন, “অ্যাশেজ় যে ধরে রাখতে পেরেছি এটাই বিরাট ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু সিরিজ় জিতলে আরও ভাল লাগত। অনেক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছি এই সিরিজ়ে। দর্শক, সংবাদমাধ্যম সবাই আপনার বিরুদ্ধে ছিল। তার মাঝেও আমরা ধারাবাহিক ভাবে ভাল ক্রিকেট খেলেছি।”
এ দিকে, শেষ টেস্টেও স্টুয়ার্ট ব্রডের মুখে ডেভিড ওয়ার্নারের কথা। টেস্টে ১৮ বার তাঁর শিকার ওয়ার্নার। সেই প্রসঙ্গে ব্রড বলেছেন, “ওয়ার্নারকে বল করার আগে অনেক গবেষণা করেছি। সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলতে গেলে নিজের দুর্বলতাগুলোকেই শুধু জানলে চলবে না, নিজের শক্তিগুলোকেও জেনে সেগুলো সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে।” কী ভাবে সেটা করা যায় সেই প্রসঙ্গে ব্রডের ব্যাখ্যা, “আমি এমনিতে বাঁ হাতিদের বিরুদ্ধে রাউন্ড দ্য উইকেট বল করতে ভালবাসি। ২০১৫ সাল থেকেই এটা করছি। কারণ তার আগে বাঁ হাতিদের বিরুদ্ধে আমার পরিসংখ্যান ভাল ছিল না।”
সিরিজে তাঁর কোনও আক্ষেপ রয়েছে কি না সেই প্রসঙ্গে ব্রড বলেছেন, “এজবাস্টন টেস্টে নতুন বল নেওয়া উচিত হয়নি। নতুন বলে এই সিরিজ়ে বল করা খুবই কঠিন ছিল। বল বার বার পিছলে যাচ্ছিল। ফলে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বাউন্ডারি মারতে সুবিধা হয়েছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy