টিম সাউদি। ছবি: এক্স (টুইটার)।
টিম সাউদির শেষ টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখলেন সতীর্থেরা। তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৪২৩ রানে হারাল নিউ জ়িল্যান্ড। তিন টেস্টের সিরিজ় শুরুর আগেই ৩৬ বছরের জোরে বোলার জানিয়ে দিয়েছিলেন অবসরের সিদ্ধান্ত। তিন টেস্টে সিরিজ় ২-১ ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড।
তিন টেস্টের সিরিজ়ের প্রথম দু’টি ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিতেছিলেন বেন স্টোকসেরা। ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া নিউ জ়িল্যান্ডের সিরিজ় বাঁচানোর কোনও সুযোগ ছিল না। তবু সাউদির জন্য হ্যামিল্টনে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলেন টম লাথামেরা। সাউদির ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনের শেষ ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। তাতে সফল কিউয়ি ক্রিকেটারেরা।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্টোকস। ঘরের মাঠে প্রথম ইনিংসে ৩৪৭ রান তুলেছিল নিউ জ়িল্যান্ড। জবাবে ১৪৩ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। তবে ১১ ওভার বল করেও উইকেট পাননি সাউদি। প্রথম ইনিংসে ২০৪ রানে এগিয়ে থাকলেও সফরকারীদের ফলো-অন করায়নি নিউ জ়িল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে কেন উইলিয়ামসনের ১৫৬ রানের সুবাদে আয়োজকেরা করে ৪৫৩ রান। এর পর জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬৫৮ রান। তখনই নিউ জ়িল্যান্ডের জয় এক রকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৬৫৮ রান তুলে ম্যাচ জেতা প্রায় অসম্ভব। স্টোকসেরা পারেনওনি। ২৩৪ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনের শেষ ইনিংসে অবশ্য সাউদির ঝুলি ফাঁকা থাকেনি। ৩৪ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন। বেন ডাকেটকে আউট করে ইংল্যান্ডকে প্রথম ধাক্কা দেন তিনিই। পরে নেন জ্যাকব বেথেলের উইকেট। এটাই তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক উইকেট।
১৫৬ রানের ইনিংস খেলেও ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পাননি উইলিয়ামসন। কারণ হ্যামিল্টন টেস্টে নিউ জ়িল্যান্ডের জয়ের আসল কারিগর মিচেল স্যান্টনার। প্রথম ইনিংসে ৭৬ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়াও ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৭ রানে ৩ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy