মুশির খান। ছবি: পিটিআই।
তিনি মাঠে নামেন এবং শতরান করেন। মুশির খান এখন এটাই অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছেন। রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের হয়ে তাঁকে একের পর এক ম্যাচে শতরান করতে দেখা গিয়েছিল। এ বার দলীপ ট্রফিতেও সেটাই দেখা গেল। সরফরাজ় খানের ভাইয়ের দাপট দেখছে ভারতীয় ক্রিকেট।
রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে বরোদার বিরুদ্ধে ২০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশির। তাঁর সেই ইনিংস নজর কেড়েছিল। সেমিফাইনালেও গুরুত্বপূর্ণ ৫৫ রান করেছিলেন তিনি। সেই রান ছিল তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে। দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন মুশির। মুম্বইকে রঞ্জি জেতাতেও বড় ভূমিকা নেন তিনি। বিদর্ভের বিরুদ্ধে ১৩৬ রান করেন। লাল বলের ক্রিকেটে মুশির আবার নামান দলীপ ট্রফিতে। সেখানে ১৮১ রান করেন তিনি। দলের বেশির ভাগ ব্যাটার যখন ১০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি, তখন মুশির বড় রান করে গেলেন। ১৬টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। একটি ছক্কা চিন্নাস্বামীর ছাদে গিয়ে পড়ে।
১৯ বছরের মুশির ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত মাত্র ছ’টি ম্যাচ খেলেছেন। দলীপের ম্যাচটি ধরে সাত ম্যাচে তিনি করেছেন ৭১০ রান। তিনটি শতরান করেছেন। তার মধ্যে একটি দ্বিশতরান। সাড়া জাগিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে শুরু করেছেন মুশির। আগামী দিনে তাঁকে ভারতীয় দলের জার্সিতে দেখতে চাইবেন সমর্থকেরা।
শুক্রবার ১৮১ রানের ইনিংসের মাধ্যমে সচিন তেন্ডুলকরের একটি নজির ভেঙে দেন মুশির। ১৯ বছর বয়সে দলীপের অভিষেক ম্যাচে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান করার তালিকায় তিন নম্বরে ছিলেন সচিন। তাঁকে টপকে তিন নম্বরে উঠে এলেন মুশির। শীর্ষে রয়েছেন বাবা অপরাজিত। তিনি ২১২ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় স্থানে যশ ঢুল। তিনি ১৯৩ রান করেছিলেন। তিন নম্বরে মুশির। সচিন নেমে গেলেন চার নম্বরে। তিনি ১৫৯ রান করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy