রোহিত শর্মা। ছবি: টুইটার।
রোহিত শর্মাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে ছ্যাঁকা খেল আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। নতুন অধিনায়ক হিসাবে হার্দিক পাণ্ড্যর নাম ঘোষণা করার ১ ঘণ্টার মধ্যে চার লাখ ভক্তকে হারাল পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নেরা।
এক দিনের বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন রোহিত। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ফাইনালে তুলেছিলেন। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও রোহিতের আগ্রাসী ব্যাটিং এবং নেতৃত্বের প্রশংসা করেছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা। তবু আইপিএলের সফলতম অধিনায়ককে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মুম্বই কর্তৃপক্ষ।
রোহিতের মুম্বইয়ের নেতৃত্ব হারানো নিয়ে নানা তত্ত্ব উঠে আসছে ক্রিকেট মহলে। অনেকেই বলছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ইশারাতেই হার্দিককে অধিনায়ক করেছে আইপিএলের মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। কারণ যাই হোক, এই সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে মুম্বইয়ের উপর। হার্দিককে অধিনায়ক করার খবর ছড়িয়ে পড়তে দ্রুত কমতে শুরু করেছে মুম্বইয়ের ভক্তের সংখ্যা।
শুক্রবার বিকালে রোহিতকে সরিয়ে হার্দিককে অধিনায়ক করার কথা ঘোষণা করেন মুম্বই কর্তৃপক্ষ। তার পরেই হু হু করে কমতে শুরু করেছে সমাজমাধ্যমে মুম্বইয়ের ফলোয়ার বা অনুসরণকারীর সংখ্যা। ১ ঘণ্টার মধ্যে চার লাখ ক্রিকেটপ্রেমী মুম্বইকে ‘আনফলো’ করেছেন। অর্থাৎ রোহিত অপসারণের সরাসরি ধাক্কা লেগেছে দলের জনপ্রিয়তায়। রোহিত মুম্বইয়ের ক্রিকেটার। মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রে তাঁর জনপ্রিয়তা বিপুল। সেখানে তাঁকে সরিয়ে বরোদার অলরাউন্ডারকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। শুক্রবার থেকেই ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ মুম্বই কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় সরব।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অবশ্য মেনে নিয়েছে, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই হার্দিককে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের গ্লোবাল হেড অফ পারফরম্যান্স মাহেলা জয়বর্ধনে বলেছেন, ‘‘এই সিদ্ধান্ত উত্তরাধিকার তৈরির অংশ। মুম্বই ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে চাইছে। এটাই আমাদের দর্শন। মুম্বই সব সময় সচিন তেন্ডুলকর, রিকি পন্টিং, হরভজন সিংহ, রোহিত শর্মার মতো অধিনায়ক পেয়েছে। যারা সকলেই ব্যতিক্রমী অধিনায়ক। এরা সকলেই দলকে তাৎক্ষণিক সাফল্য দেওয়ার পাশাপাশি, ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী দল তৈরিকে গুরুত্ব দিয়েছে। এই দর্শন অনুযায়ী ২০২৪ সালের আইপিএলে মুম্বইকে নেতৃত্ব দেবেন হার্দিক পাণ্ড্য।’’
মুম্বই কর্তৃপক্ষের এই যুক্তি শুনতে চাইছেন না ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। তাঁরা রোহিতকে এ ভাবে সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে সমাজমাধ্যমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy