বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরে বিশ্বকাপ থেকেই বিদায় নেওয়ার মুখে পাকিস্তান। এমন অবস্থায় পাক সমর্থকদের আফসোস যাচ্ছে না রিভিউয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাদের বিপক্ষে যাওয়া নিয়ে। কিন্তু পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক মইন খান অভিযোগ তুললেন আইসিসি-র বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে ডিআরএসে ভুল ছবি দেখানো হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ডিআরএস নিলেও মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কারণে নট আউট থেকে যান তাবরেজ শামসি। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে মইন বলেন, “আম্পায়ারের ভুল। তাঁর উচিত ছিল আউট দেওয়া। বল যখন পায়ে লাগে, তখন লেগ স্টাম্প দেখা যাচ্ছিল। অবশ্যই আউট। আম্পায়ারের আঙুল তুলে দেওয়া উচিত ছিল। তার পর রিভিউ নিত দক্ষিণ আফ্রিকা। আমার তো মনে হয় রিভিউ নেওয়ার সময় ডিআরএসে ভুল ছবি দেখানো হয়েছে। বল লেগ স্টাম্পে লাগছিল। সেটা দেখানো হয়নি।”
চেন্নাইয়ের শুক্রবার মুখোমুখি হয় পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে বাবরেরা ২৭০ রান করেন। সেই রান তাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ জেতে মাত্র ১ উইকেটে। কঠিন লড়াইয়ে এক সময় পাকিস্তান জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। ৪৬তম ওভারে হ্যারিস রউফের বল তাবরেজ শামসির পায়ে লাগে। মাঠের আম্পায়ার নট আউটের সিদ্ধান্ত দেন। রিভিউ নিলে দেখা যায় বল উইকেটে লাগলেও অনেকটা অংশ উইকেটের বাইরে ছিল। তাই মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া নট আউটের সিদ্ধান্তই বহাল রাখতে হয় তৃতীয় আম্পায়ারকে। হতাশ হয়ে পড়েন পাকিস্তানের সমর্থকেরা।
পাকিস্তানের আরও এক প্রাক্তন অধিনায়ক মিসবা ইল হক বলেন, “আম্পায়ার্স কল একটা বড় সমস্যা। এটা মেটাতে হবে। প্রযুক্তি যদি আউট দেখায়, তাহলে মাঠের আম্পায়ার নট আউট দেখালেও আউট দিয়ে দেওয়া উচিত। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই যদি মানতে হয়, তাহলে আর প্রযুক্তির কী দরকার?”
পাক অধিনায়ক বাবর যদিও এই আউট নিয়ে কোনও বিতর্কে যেতে রাজি নন। তিনি বলেন, “এটা তো খেলার অঙ্গ। আম্পায়ার যদি আউট দিতেন তাহলে আমাদের পক্ষে যেত। আমাদের তো এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতেই হবে।”
ভারতের প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিংহ সমাজমাধ্যমে লেখেন, “বল স্টাম্পে লাগলে সেটা অবশ্যই আউট। এমনটা তো ভারতের সঙ্গেও হতে পারে। আইসিসি-র উচিত মাঠের আম্পায়ার অথবা প্রযুক্তি যে কোনও একটাকে বেছে নেওয়া। এক জন আউট বলছে আর অন্য জন নট আউট বলছে, এটা হতে পারে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy