মিচেল স্টার্ক। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপেও আলোচনায় চলে এল ‘মানকাডিং’ বা ‘মাঁকড়ীয় আউট’। সোমবার লখনউয়ে অস্ট্রেলিয়া বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচের শুরুর দিকেই এই কাণ্ড। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় দু’বার শ্রীলঙ্কার ব্যাটার কুশল পেরেরাকে সতর্ক করেন মিচেল স্টার্ক। অফ ফর্মে থাকা স্টার্কের এই আচরণ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
সোমবারের ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভার করতে এসেছিলেন স্টার্ক। তৃতীয় বলেই তিনি আচমকা রান-আপ থামিয়ে দেন। নন-স্ট্রাইকার কুশল পেরেরাকে তিনি সতর্ক করে দেন। কুশল কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলেন ক্রিজ ছেড়ে। স্টার্কের কথায় তিনি আবার ক্রিজে ফিরে আসেন।
এখানেই ব্যাপারটা শেষ হয়ে গেলে বিতর্ক হত না। কিন্তু নিজের পরের ওভারে আবার একই কাজ করেন স্টার্ক। এ বারও নন-স্ট্রাইকার সেই কুশল পেরেরাই। তবে শ্রীলঙ্কার ব্যাটার এই ক্ষেত্রে ক্রিজের ভেতরেই ছিলেন। তা সত্ত্বেও স্টার্ক রান-আপ থামিয়ে কুশলকে সতর্ক করায় পাল্টা প্রশ্ন করেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার।
তার পরেই শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। নিজের দেশের সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন স্টার্ক। তাঁকে সবাই উপদেশ দেন, নন-স্ট্রাইকারের দিকে নজর দিয়ে তাঁকে অন্যায্য ভাবে আউট করার চেয়ে উল্টো দিকে থাকা ব্যাটারকে আউট করার চেষ্টা করুন স্টার্ক। শ্রীলঙ্কা অবশ্য ব্যাপারটি ভাল ভাবে নেয়নি। দুই ওপেনারই শ্রীলঙ্কার বোলারদের বেধড়ক মারতে থাকেন। ওপেনিং জুটিতেই উঠে যায় ১২৫ রান। কুশল ৭৮ রান করে কামিন্সের বলে আউট হন।
প্রসঙ্গত, বোলারের হাত থেকে বল বেরনোর আগেই যদি নন-স্ট্রাইকার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান, তাঁকে রান আউট করে দিতে পারেন বোলার। ভারতের বিনু মাঁকড় প্রথম এই কাজ করেছিলেন বলে এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে গিয়েছে। আইসিসি এই আউটকে স্বীকৃতিও দিয়েছে। কিন্তু এখনও এ ধরনের আউটের চেষ্টা হলেই বিতর্ক তৈরি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy