ব্যর্থ ঋষভ পন্থ। লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক পুরনো দল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৬ বল খেলেও কোনও রান করতে পারলেন না। যদিও তাঁর দল প্রথমে ব্যাট করে লড়াই করার মতো রান তুলল বিশাখাপত্তনমের ২২ গজে। লখনউয়ের ইনিংস শেষ হল ৮ উইকেটে ২০৯ রানে।
আইপিএলের চতুর্থ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক অক্ষর পটেল। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও শুরুটা ভাল করতে পারেননি লখনউয়ের ব্যাটারেরা। ওপেনার এডেন মার্করাম ১৩ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যান। ৪৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন অন্য ওপেনার মিচেল মার্শ এবং তিন নম্বরে নামা নিকোলাস পুরান। অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার ৩৬ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন। মারেন ৬টি করে চার এবং ছক্কা। ক্যারিবিয়ান ব্যাটারের ব্যাট থেকে এল ৩০ বলে ৭৫ রানের ইনিংস। পুরান মারলেন ৬টি চার এবং ৭টি ছয়। তাঁদের দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে উঠল ৭ ওভারে ৮৭ রান।
তাঁরা দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিলেও লখনউয়ের অন্য ব্যাটারেরা দলের রানকে প্রতিপক্ষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যেতে পারলেন না। চার নম্বরে নেমে পন্থ ছ’টি বল খেলেও রান করতে পারলেন না। পর পর দু’উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় লখনউয়ের ইনিংস। ডেভিড মিলার, আয়ুষ বাদোনিরা নিজেদের ইনিংস শুরু করলেন কিছুটা সাবধানী হয়ে। তাতে রান তোলার গতি অনেকটা কমে গেল লখনউয়ের। লাভের লাভ কিছু হল না। বাদোনি (৪) রান পেলেন না। প্রথম ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে সই করানো শার্দূল ঠাকুরও (শূন্য) ব্যর্থ হলেন। একটা সময় ১ উইকেটে ১৩৩ রান করা লখনউ পাঁচ ওভারের ব্যবধানে ৬ উইকেটে ১৭৭ হয়ে যায়। ২২ গজে সঙ্গীর অভাবে মিলারও তেমন আগ্রাসী হতে পারলেন না। রান পেলেন না বাংলার শাহবাজ় আহমেদও (৯)। ব্যর্থ রবি বিশ্নোইও (শূন্য)। ১৯ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকলেন মিলার। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন দ্বিগ্বেশ রাঠি (অপরাজিত শূন্য)।
আরও পড়ুন:
দিল্লির সফলতম বোলার কলকাতা নাইট রাইডার্সের ছেড়ে দেওয়া মিচেল স্টার্ক। ৪২ রান ৩ উইকেট নিলেন তিনি। ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন কুলদীপ যাদব। বাংলার মুকেশ কুমার ২২ রানে ১ উইকেট নিলেন। ৩৫ রান খরচ করে ১ উইকেট ভিপরাজ নিগমের।
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
১১ মৃত্যুর জের, আইপিএল জয়ের উৎসবে কী কী করা যাবে না, শনিবার ঠিক করবে বোর্ড, আর কী কী নিয়ে আলোচনা?
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ