এ বারের মতো কি প্লে-অফের আশা শেষ হয়ে গিয়েছে কলকাতা নাইডার্সের? আইপিএলে প্রথম আটটি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি হেরেছে তারা। ঘরের মাঠে চারটির মধ্যে তিনটি হারতে হয়েছে অজিঙ্ক রাহানেদের। এই পরিস্থিতি থেকে কি ফেরা সম্ভব? এখনও তাঁরা প্লে-অফের লড়াই থেকে বেরিয়ে যাননি, এমনটাই মনে করেন কেকেআরের সিইও বেঙ্কি মাইসোর। পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
গুজরাত টাইটান্সের কাছে হারের পর মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বেঙ্কি ও অধিনায়ক রাহানে। সেখানেই ২০১৪ ও ২০২১ সালের উদাহরণ তুলে ধরেন বেঙ্কি। কঠিন পরিস্থিতি থেকে তাঁরা কী ভাবে ফিরেছিলেন সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন নাইট কর্তা।
বেঙ্কিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এ বার কি কেকেআর প্লে-অফে উঠতে পারবে? জবাবে তিনি বলেন, “কেকেআর দুর্দান্ত দল। এটা ১৮তম মরসুম। রেকর্ডের দিকে তাকালে দেখা যাবে আমরা এই প্রতিযোগিতার তৃতীয় সেরা দল। ২০১৪ সালে প্রথম সাত ম্যাচের মধ্যে আমরা দুটো জিতেছিলাম ও পাঁচটা হেরেছিলাম। তার পরে কী হয়েছিল? আমরা টানা ন’টা ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও টানা পাঁচটা ম্যাচ জিতেছিলাম। তার মানে টানা ১৪টা ম্যাচ জেতার ক্ষমতা আমাদের আছে।”
আরও পড়ুন:
২০২১ সালেও তাঁরা একই রকম পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন বলে সমর্থকদের মনে করিয়ে দিয়েছেন বেঙ্কি। তিনি বলেন, “২০২১ সালে কী হয়েছিল। প্রথম সাতটা ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটো জিতেছিলাম। তার পরেও ফাইনালে উঠেছিলাম। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যে কোনও সময় খেলা ঘুরতে পারে। এখনও খেলা অনেক বাকি।” দলের অধিনায়ক রাহানে ও মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভোর উপর তাঁর ভরসা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেঙ্কি।
শনিবারই দলের সহকারী কোচ হিসাবে যোগ দিয়েছেন অভিষেক নায়ার। কেকেআরকে নিজের হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। নায়ার আসায় তাঁদের সুবিধা হবে বলে মনে করেন রাহানে। তিনি বলেন, “নায়ারকে পাওয়ায় আমাদের সুবিধা হয়েছে। ও এই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ওকে পেয়ে দলের সকলে খুব খুশি। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ও ভাল ভাবে চেনে। আশা করছি, নায়ারের পরামর্শ আমাদের কাজে লাগবে।”
কেকেআরের পরের ম্যাচ আগামী শনিবার। ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে তারা। গত বার কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের মুখোমুখি হওয়ার আগে দল চাপে রয়েছে। এখন দেখার এখান থেকে কেকেআর ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না।
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
১১ মৃত্যুর জের, আইপিএল জয়ের উৎসবে কী কী করা যাবে না, শনিবার ঠিক করবে বোর্ড, আর কী কী নিয়ে আলোচনা?
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ