এস শ্রীসন্থ। —ফাইল চিত্র।
গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তদন্তের মুখে এস শ্রীসন্থ। সমাজমাধ্যমে গম্ভীরের বিরুদ্ধে তাঁর পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। শ্রীসন্থের অভিযোগ, লেজেন্ডস লিগের ম্যাচে গম্ভীর তাঁকে ‘ফিক্সার’ বলে কটাক্ষ করেছেন। যা নিয়ে পাল্টা মুখ খুলেছেন গম্ভীর। এই ঘটনার তদন্ত করবেন লেজেন্ডস লিগ কর্তৃপক্ষ। অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিযোগিতার প্রধান সৈয়দ কিরমানি।
অভ্যন্তরীণ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছেন লেজেন্ডস লিগ কর্তৃপক্ষ। শ্রীসন্থকে তাঁর অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ দিতে হবে সেই কমিটির কাছে। তিনি কেন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ না জানিয়ে সমাজমাধ্যমে বিষয়টি জানালেন, তারও ব্যাখ্যা দিতে হবে ভারতীয় দলের প্রাক্তন জোরে বোলারকে। লেজেন্ডস লিগের ম্যাচেই তর্কে জড়িয়েছিলেন গম্ভীর এবং শ্রীসন্থ। তাঁদের বাক্যুদ্ধ থামাতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল আম্পায়ারদের।
কিরমানি বলেছেন, ‘‘লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেট সব সময় চেষ্টা করে মাঠে ক্রিকেটীয় মানসিকতা অক্ষুণ্ণ রাখার। খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতার আচরণ বিধি লঙ্ঘনের জন্য আমরা একটা অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তৈরি করছি। মাঠে বা মাঠের বাইরে অথবা সমাজমাধ্যমে অনুচিত কিছু ঘটলে, তা কঠোর ভাবে মোকাবিলা করা হবে।’’ ভারতের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আরও বলেছেন, ‘‘প্রতিযোগিতার আচরণবিধি অত্যন্ত পরিষ্কার। তাতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, কোনও দল বা খেলোয়াড় সৌজন্য নষ্ট করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ ক্রিকেটের সঙ্গে আমাদের দেশ এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের আবেগ জড়িত।’’
২০১১ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন গম্ভীর এবং শ্রীসন্থ। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলেও ছিলেন দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার। অবসর নেওয়ার পর দু’জনেই যোগ দিয়েছেন প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে। গম্ভীর পূর্ব দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির সাংসদ। অন্য দিকে, শ্রীসন্থও বিজেপির সদস্য। কেরলের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে তিরুঅনন্তপুরম কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি। তাই প্রকাশ্যে তাঁদের ঝগড়ার বিষয়টি হালকা ভাবে নিচ্ছেন না লেজেন্ডস লিগ কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy