কুলদীপ যাদব। ছবি: পিটিআই।
কয়েক বছর আগেও কুলদীপ যাদবকে একটা কথা বার বার শুনতে হয়েছে। তাঁর বলে গতি নেই। বল বাতাসে ভেসে পিচে পড়ার পর এতটাই ধীরগতিতে ব্যাটারের কাছে আসছে যে, খেলতে কোনও সমস্যাই হচ্ছে না। বলের ধীরগতির কথা বার বার উঠলেও কী ভাবে তা সমাধান করা যায় সেটা কেউ তাঁকে বলেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দু’উইকেট নেওয়ার পর সেই বঞ্চনার কথা উঠে এল ভারতীয় স্পিনারের গলায়।
কোভিডের সময়ে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন কুলদীপ। সেটা সারিয়ে ওঠার পর তাঁর বলের গতি বেড়েছে। কী ভাবে তা সম্ভব হল? শুনেই কুলদীপ বললেন, “সবাই বলেছিল আমার বলের গতি বাড়াতে হবে। কিন্তু কী ভাবে সেটা করব তার উত্তর কেউ দেয়নি।”
কুলদীপ নিজেই নিজের বোলিং অ্যাকশন বদল করেছেন। তবে সাহায্য পেয়েছেন ফিজিয়ো আশিস কৌশিকের। হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর রিহ্যাবে থাকাকালীন আশিসের কথা মাথায় রেখেছিলেন। কুলদীপ বলেছেন, “চোট সারিয়ে ফিরে আসার পর ফিজিয়ো আশিস বলেছিল ডান পায়ের উপর কম জোর দিতে। অনুশীলনে সেটা নিয়ে অনেক পরিশ্রম করি। ম্যাচের পরিস্থিতি তৈরি করে সেখানেও ও ভাবে অনুশীলন করি। তাতেই ফারাকটা বুঝতে পেরেছিলাম। রাতারাতি কিছুই হয়নি। পুরনো ছন্দ ফিরে পেতে অন্তত ছ’মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে।”
অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ। চেন্নাইয়ের পিচ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “ঘূর্ণি পিচে কোন গতিতে বল ঘুরছে সেটার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। স্লো টার্নার পিচে গতির বৈচিত্র আনা খুব দরকার।”
রবিবারের পিচ কি তেমনই ছিল? কুলদীপ বলেছেন, “আমার মনে হয় না। তবে হ্যাঁ, বলের গতি বাড়িয়ে সাফল্য পেয়েছি। খেয়াল করলে দেখবেন, আমার বলে শট মারার জন্যে পর্যাপ্ত সময় পায়নি ম্যাক্সওয়েল। স্মিথের বোল্ডটাও দেখুন। তাই স্পিনের পাশাপাশি গতিটাও দরকার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy