কেএল রাহুল। ছবি: পিটিআই।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত যে জিতছে, এটা ম্যাচ শেষ হওয়ার অনেক ক্ষণ আগেই বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু ম্যাচের পর অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল, যা অনেকেই ভাবতে পারেননি। প্যাট কামিন্সের বল কভার অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়েও ব্যাটে ভর দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে পড়লেন কেএল রাহুল। যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না ম্যাচটা শেষ হয়ে গিয়েছে এবং তাঁরা জিতে গিয়েছেন। ম্যাচের পর কথা বলতে এসে আসল কারণ জানা গেল। রাহুল জানালেন, তিনি চার মারতে চেয়েছিলেন। ছয় হয়ে যাবে বুঝতে পারেননি। ছক্কা নয়, কেন চার মারতে চেয়েছিলেন রাহুল?
দিনের শেষে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকলেন রাহুল। শেষের দিকে যত রান জিততে বাকি ছিল, শতরানের জন্যে তার থেকে তিন রান বেশি দরকার ছিল রাহুলের। তিনি সে ভাবেই খেলছিলেন। কিন্তু শেষ দিকে সেই ছয়টাই গোলমাল করে দিল। রাহুলের কথায়, “শটটা বেশ জোরেই মেরেছিলাম। আসলে শেষের দিকে হিসাব কষে এগোচ্ছিলাম যে কী ভাবে শতরান করতে পারি। একমাত্র উপায় ছিল চার এবং ছয় মারা। কিন্তু শতরান না করায় কোনও আক্ষেপ নেই। দল জিতেছে এটাই বড় কথা।”
তিনি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন তখন ২ রানে ৩ উইকেট ভারত ধুঁকছে। ওই পরিস্থিতি থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অনেক দলই হেরে যাবে। কিন্তু বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর ১৬৫ রানের জুটি ভারতকে হারতে দিল না। সাফল্যের রহস্য কী? রাহুল বললেন, “সত্যি বলতে খুব বেশি কোহলির সঙ্গে কথা বলিনি। ৫০ ওভার কিপিং করার পর ভেবেছিলাম স্নান করার পর একটু বিশ্রাম নেব। সেটা আর হয়নি।”
রাহুলের সংযোজন, “ক্রিজে নামার পর কোহলি বলেছিল পিচে প্রাণ রয়েছে। তাই কিছু ক্ষণ টেস্টের মতো খেলতে। শুরুর দিকে নতুন বলে পেসারেরা ভাল সাহায্য পাচ্ছিল। স্পিনারেরাও ঘূর্ণি পেয়েছে। শেষ ১৫-২০ ওভারে শিশিরের সাহায্য পেয়েছি। ব্যাট করার পক্ষে সহজ উইকেট ছিল না। তবে ক্রিকেট খেলার পক্ষে ভাল উইকেট।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy