গুয়াহাটিতে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ কলকাতা নাইট রাইডার্সের। দু’টি দলই প্রথম জয়ের খোঁজে। ঘরের মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে লজ্জাজনক ভাবে হেরেছে কেকেআর। অন্য দিকে হায়দরাবাদে সানরাইজ়ার্সের তাণ্ডবের সামনে আত্মসমর্পণ করে রাজস্থান। গুয়াহাটিতে কাদের ভাগ্যের চাকা ঘোরে সেটাই দেখার।
সোমবার বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে কেকেআর। রাজস্থান দলে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের অভাব নেই। সি ভি বরুণ ও সুনীল নারাইনকে বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে বিপক্ষকে কম রানের মধ্যে আটকাতে। তাই দীর্ঘক্ষণ স্পট বোলিং করেন বরুণ ও নারাইন। হর্ষিতকে নিয়ে একটি নেটে ইয়র্কারের অনুশীলন করান বি অরুণ।
নাইট জার্সিতে প্রথম ম্যাচ হারলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের স্মৃতি এখনও তরতাজা হর্ষিতের। নাইটদের ওয়েবসাইটকে তিনি বলেছেন, ‘‘দেশের হয়ে প্রথম ট্রফি জেতার অনুভূতি অন্য রকম। কখনও ভুলব না।’’ যোগ করেন, ‘‘আমার ফোনের স্ক্রিনসেভারে ট্রফি জয়ের ছবিই রয়েছে। তবে কেকেআর প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় খারাপ লাগছে। গুয়াহাটিতে আশা করি প্রথম জয় পাব।’’
বরুণও তাঁর ফোনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ছবি স্ক্রিনসেভারে লাগিয়ে রেখেছেন। বলেছেন, ‘‘দেশের হয়ে এত বড় জয় আবার কবে পাব জানি না। জয়ের স্মৃতি এখনও তরতাজা। কেকেআর-এর হয়েও ভাল কিছু করতে চাই।’’
নাইটদের ওয়েবসাইটে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অঙ্গক্রিশ রঘুবংশিও। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ এ ভাবে হারব ভাবিনি। চেষ্টা করব পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে। আমি আত্মবিশ্বাসী, গুয়াহাটি থেকে জিতে ফিরব।’’
প্রথম হারের যন্ত্রণা ভুলতে চান রাজস্থান রয়্যালস তারকা রিয়ান পরাগও। রবিবার ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের ভুলতে হবে শেষ ম্যাচে কী হয়েছে। কলকাতা ভাল দল। চেষ্টা করব সেরাটা দেওয়ার।’’
বুধবার শেষ হাসি কারা হাসে সেটাই দেখার।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)