মেয়েদের আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিয়ারা আদবানি। ছবি: বিসিসিআই
আইপিএল। আধুনিক ক্রিকেট দুনিয়ার সেরা ঠিকানা। ২০ ওভারের ক্রিকেটের উত্তেজনার সঙ্গে বিনোদনের মশলা ঠাসা। সব দেশের ক্রিকেটাররা এই প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য মুখিয়ে থাকেন। ক্রিকেটপ্রেমীরাও অপেক্ষা করে থাকেন আইপিএলের জন্য। যদিও আইপিএল থেকে ক্রমশ কমছে বিনোদনের মশলা।
আইপিএলে চার, ছয় এখনও হয়। পড়ে উইকেটও। কিন্তু চিয়ার লিডারদের আর মাঠের ধারে কোমর দোলাতে দেখা যায় না। আকাশের দিকে ছুটে যায় না আগুনের হলকা। বিশুদ্ধ ক্রিকেটের স্বার্থে ললিত মোদী পরবর্তী সময়ের ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ছেঁটে ফেলেছে খেলার ফাঁকে ফাঁকে ছোট্ট বিনোদন।
ক্রিকেটপ্রেমীদের মনোরঞ্জনের সব আয়োজন অবশ্য বাতিল করে দেননি বোর্ড কর্তারা। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রতিবারের বাড়তি আকর্ষণ। বলিউডের খ্যাতনামীরা মাতান মঞ্চ। কোভিডের জন্য সেই বিনোদনেও ছেদ পড়েছে গত চার বছর। বোর্ড কর্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাবনা থেকে অবশ্য সরে আসেননি। তার প্রমাণ মিলেছে শনিবার। মহিলাদের প্রথম প্রিমিয়ার লিগের বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদবানি, কৃতি শ্যাননরা। গান গেয়েছেন ‘ব্রাউন মুন্ডে’ খ্যাত ইন্ডো-কানাডিয়ান পপ-গায়ক এপি ধিঁলো। ‘তারকা মূল্যে’ মহিলাদের প্রথম আইপিএল পর্দা তুলেই টক্কর দিয়েছে পুরুষদের আইপিএলের সঙ্গে।
বোর্ড কর্তাদের নিশ্চই পরিকল্পনা রয়েছে ২৭ দিন পরে ছেলেদের আইপিএলের উদ্বোধন নিয়েও। গত বছর হৃত্বিক রোশনের মঞ্চ মাতানোর কথা ছিল। কিন্তু কোভিড ছড়ানোর আশঙ্কায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এ বার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আবার ২০ ওভারের ক্রিকেটের উত্তেজনার সঙ্গে মিশতে পারে বিনোদনের মশলা। কিয়ারা, কৃতি, ধিঁলোদের টেক্কা দিতে আসবেন কারা? চার বছরের খিদে মিটবে কি?
গত বিশ্বকাপ ফুটবলের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নোরা ফতেহি। ফাইনালের দিন ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোনও। ফুটবল বিশ্ব ব্রাত্য করে রাখতে পারছে না বলিউডকে। ভারতীয় ক্রিকেট কি করে পারবে? বাণিজ্য নগরীর দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কও নতুন নয়। মনসুর আলি খান পতৌদি-শর্মিলা ঠাকুর থেকে বিরাট কোহলি-অনুষ্কা শর্মা— বলিউড এবং ক্রিকেট হাত ধরে পথ হেঁটেছে। সূত্রের খবর ৩১ মার্চ আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও ফিরছে বিনোদন।
কিয়ারা, কৃতিদের পর কারা মাতাবেন আইপিএলের উদ্বোধনী মঞ্চ? সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে গেলেও এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না বোর্ড কর্তারা। শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, থাকবে একাধিক চমক। নতুন অভিজ্ঞতা হবে ক্রিকেট বিশ্বের।
চার বছরের খিদে মেটাতে পারবে ১৫তম আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান? খিদে মিটুক না মিটুক, আইপিএলে ফিরুক চেনা মেজাজ। এমনই চাইছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। ক্রিকেট-বিনোদনের ককটেলে মজুক বিশ্বের বৃহত্তম ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ক্রিকেট লিগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy