২০২১ সালে নভেম্বর মাসে খেলা হয় মুস্তাক আলি ট্রফি। সেখানে মুম্বইয়ের হয়ে ৫ ম্যাচে ২৮৬ রান করেন তিনি। গড় ৫৭.২ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৬৪। এই মরসুমের মুস্তাক আলি ট্রফিতে সর্বাধিক রানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রহাণে। সেই সঙ্গে বিপুল অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার রয়েছে তাঁর। তাই তাঁকে নিয়ে কলকাতা খুব একটা ভুল করেনি বলাই যায়। তবে আইপিএল শুরু হলে রহাণেকে কী ভাবে ব্যবহার করেন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার সেই দিকে নজর থাকবে।
অজিঙ্ক রহাণেকে ১ কোটি টাকা দিয়ে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। —ফাইল চিত্র
আইপিএল-এর নিলামে কত অবাক করা কাণ্ডই ঘটে। স্টিভ স্মিথ, শাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটার অবিক্রিত থেকে যান, আবার কত নাম না জানা ক্রিকেটার হয়ে যান কোটিপতি। এ বারের নিলামে অজিঙ্ক রহাণেকে ১ কোটি টাকা দিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স নেওয়ার সময় অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। কিন্তু কেন হঠাৎ জাতীয় দল থেকে বাদ যাওয়া ক্রিকেটারকে নেওয়ার জন্য ঝাঁপাল কলকাতা?
অনেকেই বলবেন, কলকাতা দলে এক জন ওপেনার প্রয়োজন ছিল। সেই কারণেই রহাণেকে তুলে নেয় তারা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ২০১৬ সালে শেষ বার টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রহাণে। শেষ এক দিনের ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৮ সালে। নিলামের পর টেস্ট দল থেকেও বাদ গিয়েছেন তিনি। এমন এক জন ক্রিকেটারকে কেন নিল কলকাতা? উত্তর পেতে ফিরে যেতে হবে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে (ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা)।
২০২১ সালে নভেম্বর মাসে খেলা হয় মুস্তাক আলি ট্রফি। সেখানে মুম্বইয়ের হয়ে ৫ ম্যাচে ২৮৬ রান করেন তিনি। গড় ৫৭.২ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৬৪। এই মরসুমের মুস্তাক আলি ট্রফিতে সর্বাধিক রানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রহাণে। সেই সঙ্গে বিপুল অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার রয়েছে তাঁর। তাই তাঁকে নিয়ে কলকাতা খুব একটা ভুল করেনি বলাই যায়। তবে আইপিএল শুরু হলে রহাণেকে কী ভাবে ব্যবহার করেন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার সেই দিকে নজর থাকবে।
মুস্তাক আলি ট্রফিতে এ বার সব চেয়ে বেশি রান করেছিলেন হায়দরাবাদের তন্ময় অগ্রবাল। ৭ ম্যাচে ৩৩৪ রান করেন তিনি। আইপিএল নিলামে তাঁকে কোনও দল নেয়নি। অবিক্রিত থেকে যান তন্ময়। সর্বাধিক রানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন দীপক হুডা। ৬ ম্যাচে তিনি করেন ২৯৪ রান। ৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁকে কিনে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে অশ্বিন হেব্বার এবং মনন ভোহরা। দু’জনেই পাঁচটি করে ম্যাচ খেলেছিলেন। হেব্বার করেন ২৭৯ রান এবং মনন করেন ২৭৩ রান। আইপিএল-এ দু’জনেই বিক্রি হন ২০ লক্ষ টাকা।
আইপিএল মানেই ছয়ের বন্যা। সেই তালিকায় সবার উপরে বিদর্ভের ক্রিকেটার জিতেশ শর্মা। ৮ ম্যাচে ১৮টি ছয় মেরেছেন তিনি। পঞ্জাব কিংস তাঁকে কেনে ২০ লক্ষ টাকায়। দ্বিতীয় স্থানে রাজস্থানের দীপক হুডা। মনন ভোহরা রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। তিনি মেরেছেন ১৩টি ছয়। কলকাতা নাইট রাইডার্স কিনেছে শেল্ডন জ্যাকসন এবং নীতীশ রানাকে। প্রথম ৬ ম্যাচে ১৩টি ছয় মেরেছিলেন এবং দ্বিতীয় জন ৫ ম্যাচে ১২টি ছয়। নিলামে রানাকে ৮ কোটি টাকা দিয়ে কেনে কলকাতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy