জনি বেয়ারস্টো: গত বার সানরাইজার্স হায়দরাবাদে ছিলেন। ইংল্যান্ডের এই উইকেটরক্ষক ১০টি ম্যাচ খেলেছিলেন গত আইপিএল-এ। রান করেছিলেন ৪৪৫, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৭। একটি শতরানও ছিল। ইংরেজ ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই সব থেকে ধারাবাহিক ছিলেন। এ বার তাঁর দাম দেড় কোটি টাকা। উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিককে ছেড়ে দেওয়া কলকাতা বেয়ারস্টোর জন্য ঝাঁপাতেই পারে।
ডিওয়াল্ড ব্রেভিস: মাত্র ১৮ বছর বয়স দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটারের। শুভমন গিলকে ছেড়ে দেওয়ার পর ব্রেভিসকে নিতে পারে কেকেআর। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিন নম্বরে একেবারে আদর্শ ব্রেভিস। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তাঁর রান ১৩৮, ৬, ৯৭, ৯৬, ১০৪, ৬৫, ৫০। ডিভিলিয়ার্সের নামের সঙ্গে মিল রেখে তাঁকে বলা হচ্ছে ‘বেবি এবি’। মাত্র ২০ লক্ষ টাকায় তাঁকে নিতেই পারে কেকেআর। গত মরসুমে বেঙ্কটেশ আয়ারকে যে রকম তাঁর নিজের খেলাটা খেলতে দেওয়া হয়েছিল, ব্রেভিসকেও যদি তা করতে দেওয়া হয়, তিনি সফল হতেই পারেন।
শ্রেয়স আয়ার: কেকেআর-এর ক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন, এ বার অধিনায়ক কে হবেন। কলকাতায় এসে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন শ্রেয়স। দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে কার্যত বিতাড়িতই হয়েছেন তিনি। চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরে ঋষভ পন্থকে অধিনায়ক করে দিল্লি। পরে শ্রেয়স সুস্থ হলেও তাঁকে আর অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়নি। শ্রেয়স বুঝিয়েই দিয়েছেন, তিনি যে দলেই যান, অধিনায়ক হিসেবে খেলতে চান। তাঁর দল পাওয়ার ক্ষেত্রে একটাই সমস্যা হতে পারে। সেটি হল মোটা টাকার (২ কোটি) ন্যূনতম দর।
শিমরন হেটমায়ার: দিল্লিতে শ্রেয়সের সঙ্গে খেলেছেন। শ্রেয়সের ঠিক পরেই নামতেন হেটমায়ার। ফলে বহু ম্যাচে দু’জনে এক সঙ্গে ক্রিজে থেকে ব্যাট করেছেন। দু’জনকেই দলে নিলে মিডল অর্ডার নিয়ে খুব একটা ভাবতে হবে না শাহরুখ খানের দলকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটারের একটিই সমস্যা, তিনি একেবারেই ধারাবাহিক নন। ফলে দেড় কোটি টাকা দিয়ে তাঁকে কেকেআর নিতে চাইবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
লিয়াম লিভিংস্টোন: আন্দ্রে রাসেলের ঠিক আগে কাউকে ব্যাট করতে পাঠানোর জন্য ইংল্যান্ডের লিভিংস্টোন একেবারে আদর্শ। এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা মারকুটে ব্যাটার। পা বাড়িয়ে, বা ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে যে ভাবে বড় শটগুলো মারেন, তাতে তাঁকে নেওয়ার জন্য ঝাঁপাতে পারে কেকেআর। বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারাইনের পরে দলের তৃতীয় স্পিনার হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন তিনি।
মুস্তাফিজুর রহমান: বাংলাদেশের এই বোলারের মন্থর গতির লেগ কাটারে এখনও বিষ রয়েছে। ২০১৫ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারতকে এই মন্থর গতির লেগ কাটার দিয়েই নাকানিচোবানি খাইয়েছিলেন। কিন্তু তখনও অনেকে মুস্তাফিজুরকে নম্বর দিতে চাননি। সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ক্যালেন্ডার বছরে ২৮টি উইকেট নেন। এখন অস্ত্র হিসেবে যোগ করেছেন মন্থর ইয়র্কারও। টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবেই তাঁকে দেখা হচ্ছে।
ট্রেন্ট বোল্ট: গত বছর ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ২৩টি উইকেট নিয়েছেন বোল্ট। গত বছর বোলিংয়ে তাঁর উন্নতি চোখে পড়ার মতো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে বোল্টই এক মাত্র ছিলেন, যিনি ডেভিড ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বোলিং করেছিলেন। মাত্র ১৮ রানে দুই উইকেট নিয়েছিলেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত বছর বিশ্বকাপের আগে সাত মাস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেননি তিনি।
চেতন সাকারিয়া: তাঁর মতো কষ্টের জীবন খুব কম ক্রিকেটারের আছে। কয়েক বছর আগেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত জুতো ছিল না তাঁর। এর পর যখন আইপিএল-এ চুক্তিবদ্ধ হন, কোভিডের জন্য হারাতে হয় বাবাকে। কিন্তু তার পরেও সাকারিয়া হাল ছাড়েননি। গত আইপিএল-এ ১৪টি উইকেট নিয়েছিলেন। নিজের ন্যূনতম দাম রেখেছেন ৫০ লক্ষ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy