বাংলাদেশের সমর্থক টাইগার রবি। ছবি: সমাজমাধ্যম।
কানপুর টেস্টের প্রথম দিন দর্শকাসনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের সমর্থক টাইগার রবি। প্রথমে দাবি করেছিলেন তাঁকে কানপুরের জনতা মারধোর করেছেন। পরে সেই দাবি থেকে সরে আসেন। রবিকে এ বার দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত সরকার। মেডিক্যাল ভিসায় ভারতে এসে খেলা দেখা এবং নির্দিষ্ট একটি সংস্থার প্রচার করার অপরাধে তাঁকে ভবিষ্যতে ভারতে ঢোকা থেকে পাঁচ বছর নির্বাসিত করা হতে পারে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘সময় নিউজ়’-এর দাবি, শুক্রবার রবিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁকে ইতিমধ্যেই দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে রবিবার ফিরবেন ঢাকায়।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থার কারণে ইদানীং ভারতের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কড়াকড়ি রয়েছে। তবে চিকিৎসা ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব সমস্যা হচ্ছে না। অভিযোগ, সেটাই কাজে লাগিয়েছেন রবি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, রবির যক্ষ্মা রয়েছে। এই রোগ সংক্রামক এবং জনবহুল জায়গায় থাকা যায় না। সেই রোগের চিকিৎসা করাতেই রবি ভারতে এসেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রবির পাসপোর্ট, ভিসা এবং আনুষঙ্গিক কাগজপত্র পরীক্ষা করে পুলিশ। ভারতে চিকিৎসা ভিসা নিয়ে এলেও রবি এখনও কোনও চিকিৎসা করাননি বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি গ্যালারিতে নিজের পোশাকে একটি বিশেষ সংস্থার প্রচার করেছেন তিনি, যা আইনবিরুদ্ধ।
রবিকে দেশে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি ভারতে আগামী বছর তাঁর ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। রবি নিজেই কিছু দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, ভারতের হাই কমিশন থেকে তিনি ভিসা পাননি। বাংলাদেশ থেকে মলদ্বীপে গিয়ে সেখানে এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে ভারতে আসার চিকিৎসা ভিসা পান। পুলিশের অনুমান, এই ভিসা নিয়ে খেলা দেখতে এসে তিনি নিয়ম ভেঙেছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের খেলা দেখতে নিয়মিত মাঠে যান রবি। সারা গায়ে বাঘের মতো রং করে বাংলাদেশের পতাকা হাতে প্রায়ই মাঠে যান তিনি। কানপুরেও গিয়েছিলেন। এক সংবাদমাধ্যমকে শুক্রবার রবি বলেছিলেন, “পিছন দিক থেকে আক্রমণ করে ওরা। আমার পিঠ এবং তলপেটে লেগেছে। শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে।”
কানপুরের মাঠে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরাই রবিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশকর্মীরা যদিও রবিকে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন। এক পুলিশকর্মী বলেছিলেন, “আমাদের এক কর্মী রবিকে সি ব্লকে দেখতে পায়। শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল ওঁর। কথা বলতে পারছিলেন না। মনে হয় ওঁর ডিহাইড্রেশন হয়েছে। চিকিৎসকেরা কী বলেন সেটার অপেক্ষায় আছি।”
পরে একটি ভিডিয়ো বার্তায় রবি মারধোরের কথা অস্বীকার করে জানান শরীর ভাল না থাকার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy