যুজবেন্দ্র চহাল। —ফাইল চিত্র
ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব থেকে বেশি উইকেটের (৯১) মালিক তিনি। কিন্তু এখনও দেশের হয়ে একটিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি যুজবেন্দ্র চহাল। ২০২১ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপে তাঁকে না নেওয়ায় সমালোচনা হয়েছিল। চহাল নিজেও জানেন না কেন সুযোগ পাননি তিনি। তবে টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ না পেয়ে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার। শৌচাগারে গিয়ে কেঁদেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কেরিয়ারের সব থেকে খারাপ সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন চহাল। তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যখন সুযোগ পেলাম না তখন সব থেকে বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম। আমি খুব একটা কাঁদি না। কিন্তু সে দিন শৌচাগারে গিয়ে কেঁদেছিলাম। বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মানতে পারিনি।’’
আইপিএলে আরসিবির হয়ে খেলার সময়েই প্রথম নজরে আসেন চহাল। তার পরেই ভারতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। কোহলি চহালকে খুব পছন্দ করতেন। তাই তিনি অধিনায়ক থাকা সত্ত্বেও কেন চহাল সুযোগ পাননি সেটা এখনও ধোঁয়াশা তাঁর কাছে। চহাল বলেন, ‘‘আমার খুব অবাক লেগেছিল। আমি কোহলির নেতৃত্বে এত ম্যাচ খেলেছি। অথচ কোহলিদের দলেই আমাকে নেওয়া হয়নি। কিন্তু আমি কোনও দিন কাউকে জিজ্ঞাসা করিনি যে কেন আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।’’
আট বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে আইপিএল খেলেছেন চহাল। ২০২১ সালের আইপিএলের পর হঠাৎ তাঁকে ছেঁটে ফেলেছিল কোহলিদের ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। সেই ঘটনাতেও আঘাত পেয়েছিলেন চহাল। আরসিবির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, এই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কথা দিয়ে কথা রাখেনি। ৩২ বছরের লেগ স্পিনার এখনও জানেন না, কেন তাঁকে রাখেনি বেঙ্গালুরু। এখন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএল খেলেন তিনি। ধারাবাহিক ভাবে সাফল্যও পাচ্ছেন।
বছর দু’য়েক আগের সেই অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন চহাল। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটা আমার খুব খারাপ লেগেছিল। ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলা শুরু করেছিলাম। আট বছর খেলেছি। কিন্তু তার পর অনেকের মুখে শুনেছিলাম, ওরা আমাকে আর রাখবে না। কারণ, আমি নাকি প্রচুর টাকা চেয়েছিলাম। তাই আমাকেও মুখ খুলতে হচ্ছে। টাকা কেন, কিছুই চাইনি আমি। কারণ, খুব ভাল করে জানি আমার প্রাপ্য ঠিক কতটা। সব থেকে খারাপ লেগেছিল, সিদ্ধান্তটা নেওয়ার আগে আরসিবি কর্তৃপক্ষ একটা ফোনও করেননি আমাকে। কিছুই জানানো হয়নি আমাকে। জানি না কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল।’’
আরসিবির উপর এই অভিমান যে সহজে যাওয়ার নয়, চহালের কথাতে পরিষ্কার। ভারতের অন্যতম সেরা রিস্ট স্পিনার বলেছেন, ‘‘বেঙ্গালুরুর হয়ে প্রায় ১৪০টা ম্যাচ খেলেছি। অথচ ওঁরা একটা যোগাযোগ পর্যন্ত করলেন না। আমাকে কথা দেওয়া হয়েছিল, নিলামে আমার জন্য সব কিছু দিয়ে ঝাঁপাবে। কিন্তু নিলামের দিন যা হল, তার পর মাথা গরম হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এখনও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম (আরসিবি-র ঘরের মাঠ) আমার প্রিয়। আট বছর আমার ঘরের মাঠ ছিল ওটা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy