করোনা অতিমারির সময় বলে থুতু লাগানো নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল আইসিসি। সেই নিয়ম এখনও চলছে। যা পছন্দ নয় মহম্মদ শামির। বলে থুতু না লাগালে রিভার্স সুইং করানো যাচ্ছে না। সেই কারণে সমস্যায় পড়ছেন বোলারেরা। এ বার শামির সুর দক্ষিণ আফ্রিকার ভেরনন ফিলান্ডার এবং নিউ জ়িল্যান্ডের টিম সাউদি গলাতেও।
সাউদি অবসর নিয়েছেন। নিউ জ়িল্যান্ডের প্রাক্তন পেসার এক সময় দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যে সময় করোনা ভাইরাস ছিল, সেই সময় এই নিয়ম আনা হয়েছিল। বোলার হিসাবে আমার মনে হয় যে, একটু বাড়তি সুবিধা দেওয়া উচিত। একটা দল ৩৬২ রান করে দিচ্ছে। ৩০০ রানের উপর প্রায় সব ম্যাচেই উঠছে। তাই বোলারদের জন্য কিছু তো থাকাই উচিত। যদি সেটা অল্প থুতু ব্যবহার করলে পাওয়া যায়, তা হলে সেটা করতে দেওয়া উচিত।”
সাউদিকে সমর্থন করেন ফিলান্ডার। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আবার থুতু ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া উচিত। বিশেষ করে এক দিনের ক্রিকেটে। এখানে ব্যাটারেরা বেশি সুবিধা পাচ্ছে। আর পাকিস্তানে যে ধরনের পিচে খেলা হচ্ছে, সেখানে তো বোলারদের জন্য প্রায় কিছু নেই।”
আরও পড়ুন:
পেসারদের একটি বড় অস্ত্র রিভার্স সুইং। বল একটু পুরনো হয়ে গেলে রিভার্স সুইং ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলে। পাকিস্তানের বোলারেরা প্রথম এই রিভার্স সুইং শুরু করেছিলেন। পরে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বোলারেরাও সেই কায়দা রপ্ত করেন। শামিও রিভার্স সুইং ভাল করতেন। বল যত পুরনো হয় তত তার পালিশ নষ্ট হয়। কিন্তু রিভার্স সুইংয়ের জন্য ম্যাচের শুরু থেকে বলের একটি দিকের পালিশ ঠিক রাখতে হয়। তার জন্য বোলারেরা থুতুর ব্যবহার করতেন।
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পরে শামি বলেছিলেন, “আমরা রিভার্স সুইং করার চেষ্টা করছি। কিন্তু তার জন্য বলে থুতু লাগাতে হবে। তার জন্য আইসিসির কাছে বার বার আর্জি জানাচ্ছি। রিভার্স সুইং হলে বোলারদের কাছেও অস্ত্র থাকে। কিন্তু এই অস্ত্র না থাকলে পুরনো বলে আউট করা কঠিন।”