রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) এবং বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে পরের ম্যাচ খেলতে বুধবারই লখনউ পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। তার আগে দু’দিন ধর্মশালায় কাটিয়েছে তারা। বিভিন্ন কাজে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছে গোটা দল। কোচ রাহুল দ্রাবিড় যেখানে সাপোর্ট স্টাফেদের নিয়ে ট্রেক করতে গিয়েছেন, সেখানে বাকিরা হোটেলে আয়োজন করেছেন র্যাম্প ওয়াকের। প্রতিযোগিতার মাঝে চাপ কাটাতে এবং দলীয় সংহতি বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শোনা গিয়েছে, বিরাট কোহলি নাকি স্থানীয় একটি আশ্রমে গিয়েছিলেন। এমনিতে তাঁকে মাঝে সাঝেই উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন আশ্রমে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। পাহাড়ও ভালবাসেন দু’জনেই। ধর্মশালায় গিয়েও কোহলি সময় কাটাতে একটি আশ্রমে গিয়ে ঘুরে আসেন।
দলের তরফে ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফেদের জন্যে হোটেলে একটি র্যাম্প শোয়ের আয়োজন করা হয়। দলের প্রত্যেক সদস্যকেই তাতে অংশ নিতে হয়। আসল র্যাম্প শো হলে যে ভাবে তাঁরা হাঁটতেন, সে ভাবেই হাঁটার নির্দেশ দেওয়া হয়। কে বিচারক ছিলেন বা প্রতিযোগিতায় কে জিতেছেন জানা যায়নি। কিন্তু গোটা দলের সংহতি, একতা যে এতে অনেকটাই বেড়েছে তা বোঝা গিয়েছে।
বিশ্বকাপে ভারতীয় দল পাঁচটির মধ্যে প্রতিটি ম্যাচই জিতেছে। সাফল্যের অন্যতম কারণ হিসাবে অনেকেই তুলে ধরেছেন সাজঘরের উৎফুল্ল পরিবেশকে। কোনও চোরাস্রোত নেই দলের অন্দরে। ক্রিকেটারেরা একে অপরের সাফল্যে উজ্জীবিত হচ্ছেন। দলের ফুরফুরে মানসিকতার প্রকাশ পাওয়া যাচ্ছে প্রতি ম্যাচেই। বেশ কিছু ক্রিকেটার এই দলকে ‘পরিবার’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
ভারতের পরের ম্যাচ রবিবার। তার আগে দ্রাবিড়েরা গিয়েছিলেন ট্রেকিংয়ে। সেখানে ক্রিকেটারদের নিয়ে যাওয়া হয়নি। তবে কেএল রাহুল একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে নদীতে স্নান করছেন তিনি। সঙ্গে দ্রাবিড়েরা। সেই ছবি পোস্ট করে রাহুল লেখেন, “প্রকৃতির বুকে ঠান্ডা জলে ডুব দেওয়ার থেকে ভাল কিছু হতেই পারে না।”
নদীতে স্নান করার আগে দ্রাবিড়েরা গিয়েছিলেন ত্রিয়ুন্ডে ট্রেক করতে। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে দ্রাবিড় বলেন, “ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপের মাঝে এখানে নিয়ে আসা উচিত হত না। চোট পাওয়ার আশঙ্কা থাকত। তাই ওদের আনা হয়নি। তবে চাইব যখন খেলা থাকবে না, তখন ওরা এসে এখানে ঘুরে যাক।” ট্রেক করতে না গেলেও দ্রাবিড়ের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন রাহুল। সেখানে ঠান্ডা জলে স্নান করে পরের ম্যাচের আগে নিজেদের তরতাজা করে নিয়েছেন।
ত্রিয়ুন্ডে হল ছবির মতো সুন্দর একটি গ্রাম। সেখান থেকে ধৌলাধার পর্বতমালা দেখা যায়। ৯ কিলোমিটার লম্বা সেই ট্রেক করতে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে। সেখানে গিয়ে ভারতের ব্যাটিং কোচ রাঠৌর বলেন, “শেষ আধ ঘণ্টা বেশ কঠিন পথ ছিল। কিন্তু এখানে এসে যে দৃশ্য দেখলাম, তাতে মন ভরে গিয়েছে। সব কিছুই করা যায় এই দৃশ্য দেখার জন্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy